‘সঙ্কট মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে দাঁড়াতে হবে’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোর একত্রে দাঁড়ানোটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, বিএনপি যদি এখানে এসে একসঙ্গে না দাঁড়াতে পারে, তাহলে সবাইকে ডুবতে হবে। দেশকে আমরা ধ্বংসের মুখে ফেলে দিতে পারি না। সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে। 

শুক্রবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সঙ্কট ও রাষ্ট্রের গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের দেশ ও জনগণ গভীর সঙ্কটে আছে। দেশের ক্ষমতায় এমন একটি সরকার আছে, যারা গদি রক্ষার স্বার্থে দেশকে নিলামে তুলতে চায়। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করেছে, তার পরিণতি হচ্ছে—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তি। দেশে এখন ঠিকঠাক নির্বাচন হয় না, বরং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এর কিন্তু একটা রাজনৈতিক পরিণতি আছে।

তিনি বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের স্বার্থ অনুযায়ী আর পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করছে না। তারা পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করছে নিজের গদি রক্ষার জন্য। ফলে, দেশ সার্বভৌমত্বের দিক থেকে একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়ছে। সরকার নিজের দেশের জনগণকে বিভক্ত করে ফেলেছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, একটা সরকার যদি রাষ্ট্রকে নিজের দল বানিয়ে ফেলে এবং সে দলে যদি একজন ব্যক্তিই অপরিহার্য হয়ে ওঠে, তাহলে সেটা আর রাষ্ট্র থাকে না। একটা রাষ্ট্রে নানা মতবাদ থাকবে। বিরোধ থাকা সত্বেও রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ রাখা হচ্ছে সরকারের কাজ। সেটা না করতে পারলে জাতিগোষ্ঠী বিভক্ত হতে থাকে। ফলে, সৃষ্টি হয় অরাজকতা। 

জোনায়েদ সাকি বলেন, এখন দেশ কি নৈরাজ্যের দিকে যাবে, নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান থাকবে, সেটা নির্ভর করছে আমরা বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো বদলাতে পারব কি না, তার ওপর। বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোই রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্ম দিয়েছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে এর গতিপথ বদলাতে হবে।

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হাসতান কায়ুম, আবুল হাসান রুবেল, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, নাজমুল হক প্রধান, সাইফুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।