বিএনপিতে পদোন্নতি পেলেন ৩৯ জন, খোকন-আলাল-দুলু উপদেষ্টা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ পাঁচ যুগ্ম মহাসচিবকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে। উপদেষ্টার তালিকায় বিএনপির আরও পাঁচ নেতা স্থান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন।

এর বাইরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির ২৯ পদে রদবদল আনার কথা জানানো হয়েছে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

এই পদায়নের মধ্যে দিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে বড় ধরনের রদবল করা হলো। তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই পদোন্নতি হলেও কয়েকজনের অবনমনও ঘটেছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের নির্বাহী কমিটিতে কিছু শূন্য পদ পূরণ ও কিছু পদে সমন্বয় করা হয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদেও কিছু নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে এই পদায়ন করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে বিএনপি। একই সঙ্গে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও মুনায়েম মুন্নার নেতৃত্বাধীন যুবদলের কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়।

নতুন করে বিএনপি চেয়ারপারসনের ১০ উপদেষ্টা হলেন—সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ, আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন এবং সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিন।

নির্বাহী কমিটিতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। দলের বিশেষ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপনকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম মহাসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন—কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল (ঢাকা বিভাগ), সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক (রাজশাহী বিভাগ) ও শরীফুল আলম (ময়মনসিংহ বিভাগ)। এছাড়া, সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গাউছকে সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দলের প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে যুবদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে। সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমকে গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এবং যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিএনপির সভাপতি নাহিদ খানকে সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ হককে সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং এ এস এম সাইফ আলীকে সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।

সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমকে রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সহ- আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।

জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু ওয়াহাব আকন্দকে ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মিফতাহ সিদ্দিকীকে সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, সহ-কৃষিবিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এস এম গালিব, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, সুইডেন বিএনপির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু, ডেনমার্ক বিএনপির সদস্য গাজী মনির এবং ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল।