চামড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ইসলামী আন্দোলনের আহ্বান

ঈদুল আজহার দিন ঢাকার পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় পীর সাহেব চরমোনাইর পক্ষ থেকে কোরবানির গোশত হাদিয়া হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বংশাল থানা শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল কাশেম।
বংশাল থানা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি হাজি মুহাম্মদ জহির ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সুলতান আহমাদ, দীনি সংগঠন বংশাল থানার সাধারণ সম্পাদক কাউসার খান বাবুল, মুহাম্মদ রিফাত, আব্দুল্লাহ সাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নেন।
চামড়া সিন্ডিকেট নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি
অনুষ্ঠানে বক্তারা কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চলমান সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। সিন্ডিকেট নির্ধারিত মূল্যে চামড়া না কিনে গরিব ও অসহায় মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইসলামবিদ্বেষী একটি মহল পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করছে। এ চক্র কওমি মাদরাসাগুলোর অর্থনৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই একই সিন্ডিকেট অতীতে দেশের পাটশিল্পকেও ধ্বংস করেছে।”
চামড়ার দরপতন ও সিন্ডিকেটের অনিয়ম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, “যদি চামড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
ঢাকা/এএএম/এসবি