ব্যারিস্টার আনিস
কর্মীদের মতের মূল্য নাই, জিএম কাদের দল চালান স্ত্রীর কথায়
নেতাকর্মীই জাতীয় পার্টির প্রাণ উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, “জিএম কাদের সারাক্ষণ গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু তিনি নিজে দল পরিচালনা করেন স্বৈরাচারী কায়দায়। দলে নেতাকর্মীদের কোনো মূল্য নেই। কখনও কখনও লোক দেখানোর জন্য নেতাকর্মীদের ডেকে মতামত নিলেও সেটা আর বাস্তবায়ন করেন না বরং তিনি দল পরিচালনা করেন একমাত্র স্ত্রীর কথায়।”
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আনিস বলেন, “একটা আন্দোলন করা অনেকটা সহজ, কিন্তু একটা সফল আন্দোলনের পর গঠনমূলক পলিসি নিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন। কয়েকজন লোক মিলে একটি বাড়ি দ্রুত ভাঙতে পারবে। কিন্তু একটি বাড়ি নির্মাণ করতে দক্ষ প্রকৌশলী দরকার। তাই দল, দেশ ও জাতির জন্য সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে হবে।”
সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, দলের কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, নাসরিন জাহান রত্না, লিয়াকত হোসেন খোকা, এটিইউ তাজ রহমান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, মাসরুর মাওলা, সরদার শাহজাহান, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, এস এম আল জুবায়ের, শরফুদ্দিন আহমেদ শিপু।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “দেশে প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। এর মধ্যে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। দেশের সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নাই। সাধারণ মানুষকে আশা-ভরসা দেওয়ার মতো রাজনৈতিক দল একমাত্র জাতীয় পার্টি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহত্তর ঐক্য করে জাতীয় পার্টিকে পরিচালিত করব।”
কোনো একক নেতৃত্বে নয়, তৃণমূলের মতামতে যৌথ নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “জি এম কাদের স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় আমাদের সিনিয়র নেতাদের বহিষ্কার করেছিল। কিন্তু আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।আর স্বৈরতান্ত্রিক সিস্টেমের পরাজয় হয়েছে।এখন থেকে জাতীয় পার্টিতে কোনো কর্তৃতবাদ স্বৈরতন্ত্রের স্থান নেই।”
উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ নূরুল ইসলাম মিলন, উপদেষ্টা নাজনিন সলতানা, আমানত হোসেন আমানত, আনোয়ার হোসেন তোতা, মাসুক রহমান, শাহনাজ পারভীন, মিজানুর রহমান, তাসলিমা আকবর রুনা, জিয়া উর রহমান বিপুল, মিজানুর রহমান দুলাল, অ্যাডভোকেট বায়জিদ প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ