জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের অবস্থান, থমথমে পরিস্থিতি
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
মশাল মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির অফিসের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। তারা মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টি অফিসে যেতে চাইলে পুলিশ মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। গণঅধিকারের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দায়ী করে দলটি নিষিদ্ধ এবং জিএম কাদেরসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শ্লোগান দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অন্যদিকে, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দলীয় অফিসে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদসহ নেতারা অবস্থান করছেন।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দল দুটির নেতারা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের ওপর গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে অভিযোগ করে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। তাদের হামলায় দলের বেশ কয়েকজন নেতা আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদসস্য সাইফুদ্দিন মিলন, আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ এবং দলটির নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পল্টন জিরো পয়েন্টে সমাবেশ ডাকে গণঅধিকার পরিষদ। খবর পেয়ে জাতীয় পার্টির কাকরাইল অফিসে দলের মহাসচিব ব্যারিষ্টার শামীম পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলমগীর সিকদার লোটনসহ দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নেয় কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে কাকরাইলে যাওয়ার পথে শ্লোগান পাল্টা শ্লোগানে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আতিকুল আলম খন্দকর সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
গণঅধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তাৎক্ষণিক দলটির সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে ফাসিস্টের দোসর জিএম কাদেরের লোকজন বিনা উসকানিতে আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।”
অন্যদিকে এ ঘটনার জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আগেও আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আজকেও মিছিল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।”
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি দোলোয়ার জালালি জানিয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি