ঢাকার সংবর্ধনায় তারেক রহমান, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রেখেই তার প্রথম ভাষণে বললেন, “আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।” অর্থাৎ আমার একটি পরিকল্পনা আছে।
তারেক রহমানের এই বাক্যটি জগদ্বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিংয়ের সেই অমর বাণী, “আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম” অর্থাৎ “আমার একটি স্বপ্ন আছে”- এর সঙ্গে তুলনীয়। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি মূলত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তার মহাপরিকল্পনার অঙ্গীকারই দেশবাসীকে জানালেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় অবতরণ করেন তারেক রহমান। বিমানবন্দর থেকে তিনি পূর্বাচলে গণসংবর্ধনা মঞ্চে যান। সেখানে তিনি লাখ লাখ দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন।
দেশের জন্য নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।” অর্থাৎ “আমার দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য আমার একটি পরিকল্পনা আছে।”
তবে দেশের জন্য তার পরিকল্পনায় কী আছে, সে ব্যাপারে তিনি ব্যাখ্যা দেননি। অবশ্য দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিকল্পনা নিয়ে অনেক সভায় কথা বলেছেন তারেক রহমান। সেখানে কৃষক, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী থেকে সোশ্যাল ইউফ্লুয়েন্সার সবার বিষয়ে তিনি তার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি বারবার তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “যেকোনো মূল্যে উস্কানির মুখে শান্ত থাকতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই।”
তারেক রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের সিপাহী বিপ্লব, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
ধর্ম, শ্রেণি, পেশা, বয়স, লিঙ্গ নির্বিশেষে দেশের সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান রেখে তারেক রহমান বলেন, “আমরা যেকোনো ধর্ম, শ্রেণি, দলের মানুষ হই - আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আমরা শান্তি, শৃঙ্খলা ধরে রাখব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে, যেন যেকোনো শ্রেণি, পেশা, ধর্মের মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে।”
“সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ” স্লোগান দিয়ে তারেক রহমান তার বক্তৃতা শেষ করেন।
ঢাকা/আলী/রাসেল