ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

এসব কারণেও হতে পারে মাথাব্যথা (শেষ পর্ব)

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ২৯ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এসব কারণেও হতে পারে মাথাব্যথা (শেষ পর্ব)

প্রতীকী ছবি

এস এম গল্প ইকবাল : উজ্জ্বল আলো, টাইট হেয়ারস্টাইল, কড়া ঘ্রাণ, ঘুমানোর ভঙ্গি ইত্যাদি বিস্ময়কর বিষয়গুলো আপনার মাথাব্যথার উদ্দীপক হতে পারে। মাথাব্যথার ১৩টি বিস্ময়কর প্ররোচক দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব।

* মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট

ডা. ইলিয়ট বলেন, ‘এই কমন ফুড ফ্লেভারিংয়ের সঙ্গে মাথাব্যথার সংযোগ রয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘অনেক লোক মনে করেন যে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট চাইনীজ রেস্টুরেন্টে সীমাবদ্ধ, কিন্তু সত্য হচ্ছে- অনেক প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারেও (যেমন- পটেটো চিপস ও সালাদের সস) এটি থাকে। যখন আপনি মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটযুক্ত খাবার খাবেন, এটি আপনার রক্তনালীকে প্রসারিত করবে এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুকে উত্তেজিত করবে।’ এর ফলে আপনার মাথাব্যথা অথবা মাইগ্রেন হতে পারে। ডা. ইলিয়ট বলেন, ‘মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট খাওয়ার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে শুরু করবেন।’

* ক্যাফেইন

কফি খেতে কে না পছন্দ করে? কিন্তু এতে থাকা ক্যাফেইন যে আপনার মাথাব্যথার প্ররোচক হতে পারে তা কি জানেন? ডা. ইলিয়ট বলেন, ‘ক্যাফেইন একটি ধূর্ত উদ্দীপক, কারণ অল্প মাত্রার ক্যাফেইন প্রকৃতপক্ষে মাইগ্রেন উপশমে ভূমিকা রাখে, কিন্তু অতিমাত্রার ক্যাফেইন মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।’ যদি আপনার ক্যাফেইন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে তা একেবারে ছেড়ে দেওয়াও মাথাব্যথার উদ্দীপক হতে পারে। ডা. ইলিয়ট বলেন, ‘যদি আপনার প্রতিদিন কফি অথবা চা খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে মাথাব্যথার প্ররোচনা এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে এসব খাওয়া কমিয়ে দেওয়া বা পরিমিত করা।’

* অসঠিক অঙ্গভঙ্গি

ডা. বায়ারম্যান বলেন, ‘টেনশন হেডেক বা মানসিক চাপ জনিত মাথাব্যথার অন্যতম সর্বাধিক কমন কারণ হচ্ছে অসঠিক অঙ্গবিন্যাস। আমি লক্ষ্য করেছি যে, হাতে রাখা যায় এমন টেক ডিভাইস যেমন- ট্যাবলেট, ফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহারের সঙ্গে অসঠিক অঙ্গবিন্যাসের সম্পর্ক বেশি। এসব ডিভাইস ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে নিচের দিকে তাকাতে হয় এবং ঘাড়কে অস্বাভাবিক অবস্থানে রাখতে হয়। এসব অভ্যাসগত অসঠিক অঙ্গভঙ্গি ঘাড় ব্যথা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।’

* আবহাওয়া ও তাপমাত্রার পরিবর্তন

অশুভ লক্ষণসূচক মেঘ ও বজ্রধ্বনি আপনার মেজাজকে নিচে নামাতে পারে, কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন মাথাব্যথারও কারণ হতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটি গার্ডনার নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউটের হেডেক অ্যান্ড ফেসিয়াল পেইনের পরিচালক ভিনসেন্ট মার্টিন বলেন, ‘মাইগ্রেনের একটি কমন উদ্দীপক হচ্ছে আবহাওয়া।’ তিনি যোগ করেন, ‘ব্যারোমেট্রিক উত্থান-পতন সাইনাসে ট্রিজেমিনাল স্নায়ুকে সক্রিয় করে মাথাব্যথায় প্ররোচিত করতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি আবহাওয়া তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনে, আপনার মাথা সাফার করতে পারে। মাইগ্রেন রোগীরা তাপমাত্রার পরিবর্তনকেও মাইগ্রেনের উদ্দীপক হিসেবে রিপোর্ট করেন, বিশেষ করে তাপমাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে।’

* উজ্জ্বল আলো

ডা. মার্টিন বলেন, ‘ক্লাব, মুভি অথবা থিয়েটার প্রোডাকশনের স্ট্রোব লাইট মাথা ঝিমিঝিম করা অথবা মাথা ঘোরানো সমস্যার চেয়েও বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ফ্ল্যাশিং লাইট মাইগ্রেনকে প্ররোচিত করতে পারে, বিশেষ করে তাদের মধ্যে যাদের ভিজুয়াল অরা আছে। এসব লাইট দৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মস্তিষ্কের অংশে স্নায়ুকে সক্রিয় করে মাথাব্যথায় উদ্দীপ্ত করে।’ ফ্লোরেসেন্ট লাইটও অস্বাভাবিক মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

* ঘুমানোর ভঙ্গি

ডা. বায়ারম্যান বলেন, ‘কিভাবে আপনি ঘুমাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে জেগে থাকার পর আপনার মাথাব্যথা অনুভব করতে পারেন। যদি আপনার মাথাকে বক্র অবস্থানে রেখে (যেমন- অনেকগুলো বালিশে মাথা রেখে ঘুমানো) ঘুমান, তাহলে আপনি অঙ্গবিন্যাসগত মাথাব্যথায় ভুগতে পারেন।’

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

পড়ুন :


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ এপ্রিল ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়