ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কানের জন্য সুস্থ মাত্রার শব্দ কত ডেসিবল

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ১১ জানুয়ারি ২০২৪  
কানের জন্য সুস্থ মাত্রার শব্দ কত ডেসিবল

অতিরিক্ত শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে শ্রবণ ক্ষমতা কমে যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, শব্দ দূষণে প্রথমে আক্রান্ত হয় কান। কানের ভেতরে থাকা রিসেপ্টর প্রথমে শব্দ তরঙ্গকে ধারণ করে। এরপরে ককলিয়ার নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত শব্দ শ্রবণের ফলে এই রিসেপ্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্রমাগত যারা অনেক শব্দের মধ্যে থাকেন তারা ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি হারাতে থাকেন। হয়তো বুঝেও উঠতে পারেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে কানে কম শুনতে শুরু করেন। 

ঢাকায় বাণিজ্যিক এলাকায় গড়ে শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবল।  যা একজন মানুষের কানের সহ্য ক্ষমতার অনেক বেশি।একজন মানুষ সাধারণত ৪০ ডেসিবল শব্দে কথা বলে। আর এই মাত্রার শব্দকে বলা হয় বাড়ির ভেতরের শব্দ। যা কানের জন্য সুস্থ মাত্রার শব্দ। মানুষের কান ৭০ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দ সহ্য করতে পারে। দিনের পর দিন ৭০ ডেসিবলের উপরে শব্দের মধ্যে থাকলে শ্রবণশক্তি ক্রমশ কমে যেতে থাকে।

উচ্চমাত্রার শব্দের মধ্যে থাকলে মানুষের শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। বেশি অ্যাড্রেনালিন মানুষের রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি করে। প্রেশার বাড়বে আর হাইপারটেনশন, প্রেশার বেশি থাকলেই হৃদরোগের ঝুঁকি অবশ্যই বাড়বে। হাইপারটেনশন ও হৃদরোগ কিডনিসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি করে। উচ্চ মাত্রার শব্দ প্রতিনিয়ত কানের মাধ্যমে আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছালে, মস্তিষ্ক এক পর্যায়ে সেটা আর সহ্য করতে পারে না। মস্তিষ্কের কোষে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপে মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাতে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, রক্তনালী ছিঁড়ে যায়। আর এগুলোই স্ট্রোকের মূল কারণ। 

গবেষণার তথ্য, ঢাকা শহরের ৬১ শতাংশ মানুষ শব্দদূষণের জন্য হতাশা ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। এসব ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে সচেতনতার পাশাপাশি সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এ জন্য আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল হতে হবে। যেখানে–সেখানে অযথা হর্ন বাজানো যাবে না, হাইড্রোলিক হর্ন পরিহার করতে হবে, সামাজিক অনুষ্ঠানে বেশি জোরে গান বা বাজনা বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি
 

/স্বরলিপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়