ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়ার ভালো-মন্দ

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১০:১০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়ার ভালো-মন্দ

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধে এখন নানা উপায় আবিষ্কৃত হয়েছে, যার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কন্ট্রাসেপটিভ পিল। ষাটের দশকে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কন্ট্রাসেপটিভ পিলকে ছাড়পত্র দেয়। এ ঘটনা নারীর জীবনে একটা ছোটখাটো বিপ্লবই ঘটিয়ে ফেলেছিল। 

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কন্ট্রাসেপটিভ পিল মূলত তিন ধরনের। 

কম্বাইনড পিল: পিরিয়ডসের সাইকেল অনুযায়ী খেতে হয় এটি। পিরিয়ডসের প্রথম দিন থেকে চতুর্থ দিনের মধ্যে খাওয়া শুরু করে ২১ দিন পর্যন্ত একটানা প্রতিদিন একটা করে খেয়ে যেতে হয়।

ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন: ইন্টারকোর্সের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেতে হয় এই পিল। এতে হাইডোজ় প্রোজেস্টেরন দেওয়া থাকে। 

প্রোজেস্টেরন পিল: এই পিল নিয়মিত একটি করে খেতে হয়। সাধারণত, যারা শিশুকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাদের এই পিল দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা যাদের আছে, তাদের ইস্ট্রোজেন দেওয়া ট্যাবলেট দেওয়া যায় না। এই পিল তাদের জন্যও।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কন্ট্রাসেপটিভ পিল খেলে মাথাব্যথা, ক্ষুধা না পাওয়া, সামান্য ব্লিডিং-এর সমস্যা দেখা যেতে পারে। কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন পিল নিলে ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেসের সমস্যা দেখা দেয়।

ভালো দিক: নিয়মিত পিল খাওয়ার ফলে ওভারিয়ান ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। এমনকি পিল খাওয়া বন্ধ করার পরের পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত ওভারিয়ান ক্যান্সারের ভয়ও কম থাকে। শুধুমাত্র গর্ভনিরোধক হিসেবেই নয়, যারা অনিয়মিত পিরিয়ডস বা অত্যধিক ব্লিডিংয়ের সমস্যায় ভোগেন, তারাও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পিল খেতে পারেন। 

চিকিৎসকেরা বলেন, হাই ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবেটিস, মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়া যায় না। যারা ধূমপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কম্বাইনড পিল ক্ষতিকর। কারণ, অনেক সময় তাদের পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। 

অনেকে ইমার্জেন্সি পিলে অত্যধিক ভরসা করেন। খেয়াল রাখতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল নিলে তা যতটা কার্যকর, এই সময়ের পরে ততটা কার্যকর নয়।

ইমার্জেন্সি পিলে কখন ভরসা করা উচিত নয়: অনেক সময় ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরেও এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ইউটেরাস হয়তো প্রেগন্যান্সি আটকাচ্ছে, কিন্তু প্রেগন্যান্সি ফ্যালোপিয়ান টিউবে চলে গেলে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে প্রসূতির প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে। ফলে, ইমার্জেন্সি পিলে ভরসা করা উচিত নয়।

এই কারণেই এখনও চিকিৎসকরা প্রেগন্যান্সি রোধে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হিসেবে কম্বাইনড পিলের উপরেই ভরসা করেন।

ওয়েবএমডির তথ্য, পিল খাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ৫ জনের মধ্যে প্রায় ১ জন নারী অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। সুতরাং পিল খাওয়া শুরু করার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই পিল কখনোই খাবেন না।

/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়