ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অপোর ‘ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’-এর আবেদন শুরু

প্রকাশিত: ২২:১৭, ১৭ মে ২০২৩   আপডেট: ২৩:৩২, ১৭ মে ২০২৩
অপোর ‘ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’-এর আবেদন শুরু

অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউট ‘২০২৩ অপো ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ’ যাত্রা শুরুর কথা ঘোষণা করেছে। নতুন ও অভিনব প্রযুক্তির উদ্ভাবনমূলক এই প্রতিযোগিতায় বিনিয়োগ ও অনুদান হিসেবে ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার অর্থাৎ ৪ কোটি ৭২ লাখেরও বেশি টাকা অর্থায়ন করবে কোম্পানিটি।

এই আয়োজনে অপোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কোয়ালকম টেকনোলজিস, জিএসএমএ ৫-জি ইন, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস এবং লিংকডইন। ‘২০২৩ অপো ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ’-এর বৈশ্বিক আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।

আগস্ট এর শুরু থেকেই থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও চীনের শেনজেনে তিনটি আঞ্চলিক পরীক্ষামূলক আয়োজন (রিজিওনাল ডেমো ইভেন্ট) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী বা ফাইনালিস্টদের পরবর্তীতে ‘ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ অ্যাসিলারেশন ক্যাম্প’ এ যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তারা অপোর এক্সিকিউটিভ ও কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে আগস্টের শেষে অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল ফাইনাল ডেমো ইভেন্ট’ এর আগে তাদের প্রস্তাবনা সংশোধন করতে পারবে।

এ বছরের ‘অপো ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ’ এর প্রস্তাবনাগুলো চারটি প্রধান মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়িত হবে। এগুলো হচ্ছে- সম্ভাব্যতা (ফিজিবিলিটি), প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন (টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন), দীর্ঘ-মেয়াদি সম্ভাবনা (লং-টার্ম পটেনশিয়াল) এবং সামাজিক মূল্যায়ন (সোশ্যাল ভ্যালু)। রিজিওনাল ডেমো ইভেন্টগুলো থেকে সর্বমোট ১৫টি মানসম্পন্ন প্রস্তাবনা নির্বাচিত হবে বৈশ্বিক চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী বা ‘গ্লোবাল ফাইনালিস্ট’ হিসেবে। এরপর ‘গ্লোবাল ফাইনাল ডেমো ইভেন্ট’ এ শীর্ষ পাঁচটি বিজয়ী প্রস্তাবনা নির্বাচিত করা হবে ও সেগুলো প্রতিটি অনুদান হিসেবে পাবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৫৩ লাখ টাকারও বেশি। 

প্রতিটি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা পর্ব (রিজিওনাল চ্যালেঞ্জ) থেকে শীর্ষ ১৫টি করে নেওয়া প্রস্তাবনা- সর্বমোট ৪৫টি প্রস্তাবনার জন্যও থাকবে সহায়তা। যেমন- উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিকীকরণে সহায়তা, ১ লাখ ৯০ হাজার ডলার অর্থাৎ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকারও বেশি অর্থের ‘ইনকিউবেশন ফান্ড’ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যৌথ উদ্যোগ প্রক্রিয়া, কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগ, বৈশ্বিক প্রযুক্তি অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ সহ অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস থেকে ক্লাউড রিসোর্স ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও পেতে পারবে উপযুক্ত প্রস্তাবনাগুলো।   

এ ব্যাপারে অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর প্রধান বলেন, ‘অপো গভীরভাবে ‘কল্যাণমূলক উদ্ভাবন’ এ ধারণায় বিশ্বাস করে। যেহেতু আমরা প্রযুক্তির নব নব উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছি, তাই মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও পরিবেশের সুরক্ষার মতো বিষয় যখন প্রধান প্রধান ইস্যু, সেক্ষেত্রে সল্যুশন প্রদানের জন্য আমরা কেবল আমাদের একক প্রচেষ্টার ওপর নির্ভরশীল হতে পারি না। তাই প্রযুক্তির সক্ষমতা ব্যবহার করে আমাদের সঙ্গে বড় বড় সমস্যাগুলোর সমাধানের উদ্দেশ্যে আমরা সম-ভাবনার উদ্ভাবকদের ক্ষমতায়িত করতে ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ চালু করেছি এবং সকলের জন্য একটি সুন্দর আগামী বির্নিমাণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং পরিবেশের সুরক্ষা সমাজ উন্নয়নের প্রধানতম নিয়ামক; আর তাই অভিনব প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব খাতে অগ্রগতি গুরুত্বপূর্ণ। ‘২০২৩ অপো ইন্সপিইরেশন চ্যালেঞ্জ’ বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি পেশাজীবীদের দুটি ক্যাটাগরিতে সুল্যশন প্রদানে সহযোগিতা করবে: ‘ইন্সপিরেশন ফর পিপল’- ‘ডিজিটাল হেলথ’ ও ‘প্রযুক্তির সহজলভ্যতা’য় উদ্ভাবন। এক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো- ‘হেলথ অ্যালগরিদম’, ‘সেন্সর ইনোভেশন’, ‘ডিজিটাল হেলথ মনিটরিং প্রোডাক্ট’, ‘অ্যাসিসটিভ টেকনোলজি’ এবং ‘এল্ডারলি-ফোকাসড টেকনোলজি’- এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পরিবেশের সুরক্ষা ও ‘কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স’-এ কার্বনের কম প্রভাবের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানতে কিংবা নিবন্ধনের জন্য ভিজিট www.oppo.com/en/proposal

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়