অভিষেকেই টিপ ফস্টারের মহাকাব্যিক ইনিংস
অভিষেক ম্যাচ মানেই বিশেষ কিছু ক্রিকেটারদের জন্য। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচটা তাই রাঙিয়ে তুলতে চান ক্রিকেটাররা। অভিষেকে ভালো খেলার বহু নজীর আছে ক্রিকেট বিশ্বে। ব্যাট হাতে বা বোলিংয়ে স্নায়ুচাপকে জয় করে সাফল্য পেয়েছেন অনেক ক্রিকেটারই। আবার ব্যর্থ হয়ে হারিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে সফল হয়ে বিশ্বসেরা হওয়ার নজীরও কম নয়।
অভিষেকের চাপকে জয় করে ইতিহাস গড়ার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ইংলিশ ব্যাটসম্যান টিপ ফস্টারের। ১৯০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সিডনি টেস্টে অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক তাঁর। সেই ম্যাচে ফস্টার ৩৮ বাউন্ডারিতে খেলেছিলেন ২৮৭ রানের অনিন্দ্য সুন্দর ইনিংস। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হয়ে ফেরেন, তখন কেবল আক্ষেপের যন্ত্রণা। এত ভালো খেলেও ১৩ রানের জন্য টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ত্রিশতক হাতছাড়া করার কষ্ট।
সিডনিতে সে ম্যাচে অজিদের ২৮৫ রানের বিপরীতে ফস্টারের বিশাল ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ড তোলে ৫৭৭ রান। প্রায় ৩০০ রান পিছিয়ে থেকেও ২য় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ট্রাম্পারের ১৮৫ রানের সুবাদে ৪৮৫ রান তোলে অজিরা। ১৯৪ রানের লক্ষ্য দেয় অতিথি ইংল্যান্ডকে। আর সে লক্ষ্য তাড়া করতে বেশি বেগ পেতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। তখনকার সময়ে টেস্ট খেলা হতো ৬ দিন করে। তো ইংল্যান্ড শেষ দিনে এসে ওপেনার হেওয়ার্ডের ৯১ ও জর্জ হার্স্টের ৬০ রানের সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
অভিষেকেই ইতিহাস গড়া ফস্টার ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে যদিও ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। ৮ টেস্টেই শেষ হয়ে জাতীয় দলের হয়ে পথচলা। ওই এক সেঞ্চুরী ও আরেক ফিফটিতে করেন ৬০২ রান। তবে প্রথম শ্রেণিতে খেলেছেন ১৫ বছরের মতো। ১৮৯৭ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ১৩৯ ম্যাচে ২২ সেঞ্চুরি ও ৩৯ ফিফটিতে করেছেন ৯০৭৬ রান।
ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল মিস করলেও গৌরবময় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ফস্টারের ২৮৭ রানের ইনিংসটি আজও অভিষেকের সর্বোচ্চ ইনিংস হিসেবে রেকর্ডবুকে ঔজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে। এছাড়াও অভিষেকে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আড়াইশ রান করার রেকর্ডটিও ১১৭ বছর ধরে তাঁর দখলে। ফস্টারের পরে অভিষেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফের, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের মাঠে অভিষেকে ওপেনিং করতে নেমে ২২২ রান করেন রুডলফ।
শিক্ষার্থী
ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (বিজেম)
ঢাকা/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন