ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

খালেদের তোপের পর দিন শেষে ব্যাটিং ভরাডুবির আক্ষেপ

সাইফুল ইসলাম রিয়াদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০০, ১৮ জুন ২০২২   আপডেট: ০৫:১৫, ১৯ জুন ২০২২
খালেদের তোপের পর দিন শেষে ব্যাটিং ভরাডুবির আক্ষেপ

খালেদ আহমেদের তোপে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুঁজি মাত্র ৮৩ রান হলেও শুরুতেই খালেদের এমন আক্রমণ উত্তেজনা ছড়ায় বাংলাদেশ শিবিরে। শরীরি ভাষায় যা ছিল স্পষ্ট। এরপর প্রতিরোধ গড়েন জন ক্যাম্পবেল-ব্ল্যাকউড। দুজনে সাবধানী খেলতে থাকেন। শেষ দিকে ইবাদত হোসেন বোলিংয়ে আসলেও সুবিধা করতে পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমান কৃপণ হলেও উইকেটের দেখা পাননি। মাঝে মিরাজ এসে রান দিয়ে দেন। তিনি ২ ওভারে ১০ রান দেন। সাকিব আল হাসান ২ ওভার করে ৩ রান দেন। ক্যাম্পবেল (২৮) ও ব্ল্যাকউড (১৭) অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। দিন শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৪৯। জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩৫। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টায় ম্যাচের ফল আসবে। দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে কম রানের আক্ষেপ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ভরাডুবির কারণেই এই হাল হলো।

দ্বিতীয় ইনিংসে- ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৯/৩ (১৫ ওভার) বাংলাদেশ: ২৪৫/১০ (৯০.৫ ওভার) লক্ষ্য: ৮৪

প্রথম ইনিংসে- বাংলাদেশ: ১০৩/১০ (৩২.৫ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৬৫/১০ (১১২.৫ ওভার) উইন্ডিজের লিড: ১৬২

৩ রানে ৩ উইকেট নিলেন খালেদ

দ্বিতীয় ওভারে আবার আক্রমণে খালেদ। ১ বল আগেই খালেদের বল বোনারের ব্যাট ঘেঁষে যায়। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়। কিন্তু ব্যাটে না লাগায় রিভিউ হারায়। এক বল পরেই বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন বোনার। ব্যাক অব লেন্থ নিচু হয়ে যাওয়া বল বুঝতে পারেননি বোনার। ৬ বলে শূন্য রানে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। ব্র্যাথওয়েট-রেইফারের পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোনারকে বোল্ড করেন খালেদ। ২ ওভারে ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। 

এবার খালেদের শিকার রেইফার

ব্র্যাথওয়েট ফেরার পর ক্রিজে এসেই দ্বিতীয় বলে ডাবলস নেন রেমন রেইফার। পরের বলে ডট দিয়ে ধরা পড়েন খালেদের পঞ্চম বলে। ব্যাক অব লেন্থের এক্সট্রা বাউন্স বল। রেইফার ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেরি করে ফেলেন। তার গ্লাভসে লেগে যায় উইকেটের পেছনে। সোহান ধরতে ভুল করেননি। ৪ বলে ২ রান নেন রেইফার। উইন্ডিজ ৩ রানে ২ উইকেট হারায়। 

খালেদের প্রথম বলেই আউট ব্র্যাথওয়েট

ওভারের প্রথম বল। ব্যাক অব লেন্থের ডেলিভারি বেরিয়ে যাচ্ছিল লেগ সাইড দিয়ে। খেলতে গিয়ে ভুল করে বসেন ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটের কানা লেগে যায় উইকেটের পেছনে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করলেন নুরুল হাসান সোহান। ২ বলে ১ রান করেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসেও ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়েছিলেন খালেদ। 

উইন্ডিজকে ৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

২৪৫ রানে অলরাউট বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৮৪। কেমার রোচ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। 

১০৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা জাগে। দ্বিতীয় সেশনে সাকিব-সোহানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ইনিংসে হার এড়ায়। দুজনে সপ্তম উইকেটের জুটিতে ১২৩ রান যোগ করেন। অ্যান্টিগা টেস্টে একমাত্র শতরানের জুটি। সোহান সর্বোচ্চ ৬৪ ও সাকিব ৬৩ রান করেন। আর জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। নতুন বলে কেমার রোচের শিকারে এলোমেলো বাংলাদেশ। মাত্র ৫৩ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। এটি রোচের দশম ফাইফার। তৃতীয় সেশনে নতুন বলে ৪টি উইকেটই নিয়েছেন এই পেসার। এ ছাড়া টেস্টে ২৪৯ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় থাকা মাইকেল হোল্ডিংকে স্পর্শ করলেন। খেলার এখনো ১ ঘণ্টা বাকি, উইন্ডিজ কি আজই জিতে যাবে নাকি চতুর্থ দিন নিয়ে যাবে ম্যাচ?  

মারতে গিয়ে বোল্ড মোস্তাফিজ, বাংলাদেশের লিড ৮৩

আগের ওভারে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে কেমার রোচকে ছয় হাঁকিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এবার আলঝারি জোসেফকে মারতে গিয়ে বোল্ড হলেন। ৯ বলে ৭ রান করেন মোস্তাফিজ। মাঠে এখন ইবাদত-খালেদ। আর মাত্র ১টি উইকেট বাকি। এই মুহূর্তে লিড ৮৩।

নতুন বলে সাকিবের পর সোহানকে ফেরালেন রোচ

নতুন বলে বাংলাদেশের দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন কেমার রোচ। সাকিব আল হাসানের পর এবার রোচের শিকার নুরুল হাসান সোহান। তার ব্যাক অব লেন্থের বল সোহানের ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। বাংলাদেশের শেষ আশা তালুবন্দি হয় ডা সিলভার গ্লাভসে। সোহান ১৪৭ বলে ১১ চারে ৬৪ রান করেন। যা বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বোচ্চ। সোহানের ইনিংসটি ছিল নিখুঁত। বল ছেড়েছেন, ডট দিয়েছেন। সাকিবের সঙ্গে তার জুটি বাংলাদেশকে ইনিংস ব্যাবধানে হার এড়ানো থেকে রক্ষা করে। উলটো লিড এনে দিয়েছেন। কিন্তু নতুন বল আসতেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট।

নতুন বলে রোচের শিকার সাকিব, সোহানের সঙ্গী ইবাদত 

নতুন বলের তৃতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাকিব আল হাসানের উইকেট! রোচের ফুলার লেন্থের হালকা বাউন্স করা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে এক্সট্রা কাভারে খেলেন সাকিব। জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরেন উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ৯৯ বলে ৬৩ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার আউটে ভেঙে যায় ১২৩ রানের জুটি। সোহানের সঙ্গে এই জুটিই বাংলাদেশকে লিড এনে দিয়েছিল। সোহানের সঙ্গী ইবাদত হোসেন।  

এবার সোহানের ফিফটি, পঞ্চাশ ছাড়ালো লিড

ফিফটি থেকে ১ রান দূরে থেকে বিরতিতে গিয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান। ফিরেই প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে মিড উইকেটে ঠেলে ফিফটি হাঁকান ১১০ বলে। এতে চারের মার আছে ৮টি। টেস্ট ক্যারিয়ারে সোহানের এটি দ্বিতীয় ফিফটি। উইকেটের মিছিলে দল যখন বিপর্যয়ে তখন সাকিবের সঙ্গে একপাশে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান সোহান। বিরতির আগে ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। দুজনের শতাধিক রানের জুটিতে বাংলাদেশ লিড নেয়। ইতিমধ্যে পঞ্চাশ ছড়িয়েছে লিডও। 

সাকিবের ফিফটি, জুটির সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের দারুণ সেশন

অ্যান্টিগা টেস্টে এই প্রথম কোনো উইকেট না হারিয়ে সেশন পার করল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান-নুরুল হাসান সোহানের জুটির সেঞ্চুরিতে এটি সম্ভব হয়। এই প্রথম বাংলাদেশ শতরানের জুটি পায়। জুটির শতরান পার হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ডোমিঙ্গোকে দেখা যায় হাত-তালি দিতে। ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দুজনে জুটি গড়েন। তাদের ব্যাটে ইনিংস হারের শঙ্কা উড়িয়ে উইন্ডিজের ১৬২ রানের লিড টপকে বাংলাদেশ উলটো লিড দেয়। এই সেশনে বাংলাদেশ যোগ করে ৯৫ রান। সাকিব তুলে নেন টানা তৃতীয় ফিফটি (৫৩)। সোহান ফিফটি থেকে আছেন এক রান দূরে (৪৯)। বাংলাদেশ লিড নেয় ৪৮ রানের।

এই প্রথম জুটির সেঞ্চুরি

অ্যান্টিগা টেস্টে এর আগে বাংলাদেশ কোনো জুটিতে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি। এবার সাকিব-সোহান সেটিকে ফিফটি পার করে রুপান্তর করেন সেঞ্চুরিতে। ১৮০ বলে দুজনের শতরানের জুটি গড়েন। তাতে সাকিবের অবদাম ৫২, সোহানের ৪৮। লাঞ্চের খানিক আগে দুজনে ৬ উইকেটে ১০৯ রানের পর জুটি গড়েন। খেলতে থাকেন দ্বিতীয় সেশন শেষের আগ পর্যন্ত। 

সাকিবের টানা তিন ফিফটি, বাংলাদেশের দুইশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটির পর অ্যান্টিগা টেস্টের দুই ইনিংসে ফিফটি পেলেন সাকিব। সাকিবের ফিফটির পরেই বাংলাদেশ দুইশ পূর্ণ হয়। ৭৪ ওভারে বাংলাদেশ দুইশ পূর্ণ করে। সোহানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিপদের মুহূর্তে ফিফটি করেন সাকিব। ৮২ বলে ৪ চারে এই ফিফটি হাঁকান। এর আগে প্রথম ইনিংসেও সাকিবের ফিফটিতে ভর করে ১০৩ রান করে বাংলাদেশ। এবার তার কাঁধে ভর করে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ায় বাংলাদেশ। দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সোহান। তিনিও ফিফটির কাছে। 

 

এবার সোহানের রক্ষা

এবার নুরুল হাসান সোহান রক্ষা পেলেন আম্পায়ার্স কলের সুবিধায়। রেইফারের বল তার পায়ে লাগলেও আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে দেখা যায় বল আউটসাইড লেগে পিচ করে। বেঁচে যান সোহান। এর আগে সাকিবও রক্ষা পান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিনটি রিভিউ শেষ।

শঙ্কা উড়িয়ে সাকিব-সোহানের ব্যাটে বাংলাদেশের লিড

ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা উড়িয়ে উলটো লিড দিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের জুটিতে উইন্ডিজের রান টপকে যায় সফরকারীরা। কাভারে সোহানের দারুণ চারে তিন রানের লিড পায় বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির অল্পকিছুক্ষণ আগে দুজনে জুটি গড়েন। তাদের জুটি ইতিমধ্যে পঞ্চাশ ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০০ বলে ৫৬ রান আসে। সাকিব ৩৫ ও সোহান ২১ রান করেন।

অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথমবার ফিফটির জুটি

সাকিব-সোহানের কল্যাণে অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথমবার পঞ্চাশ পেরোনো জুটি দেখলো বাংলাদেশ। আশ্চর্য হলেও সত্যি দুই ইনিংস মিলিয়ে পঞ্চাশ রানের কোনো জুটি দেখেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সপ্তম উইকেটে দুজনে ৯৪ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন। এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ছিল তামিম-জয়ের ৩৩। দ্বিতীয় ইনিংসেই এই জুটিটা হয়। 

সাকিব-সোহানের সামনে উইন্ডিজের লিড টপকানোর চ্যালেঞ্জ

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরে দারুণ খেলছেন সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। দুজনের সামনে উইন্ডিজের লিড টপকানোর চ্যালেঞ্জ। ৪৭ রান দূরে থেকে দ্বিতীয় সেশন শুররু করেন দুজনে। সাকিবকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন সোহান। এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন, অন্য প্রান্তে সাকিব খেলছেন সাবলীল। বল ছাড়ছেন, ডট দিচ্ছেন আবার মারার বল মারছেন। এই জুটিই এখন বাংলাদেশের ভরসা।

আম্পায়ার্স কলে সাকিবের রক্ষা

বিরতি থেকে ফিরেই অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন সাকিব আল হাসান। কাইল মায়ার্সের বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট মিস করে বল লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ নেয়, অনফিল্ড আম্পায়ার্স কলের সুবিধায় বেঁচে যান সাকিব। 
 

প্রথম সেশন শেষে বড় হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ

প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। ১১৫ রানে নেই ৬ উইকেট। উইন্ডিজ থেকে এখনো পিছিয়ে ৪৭ রানে। বড় হারের শঙ্কা নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান-নুরুল হাসান জুটি এখন শেষ ভরসা। সাকিব-সোহানের সামনে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। অথচ দিনের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম আধঘন্টায় কোনো উইকেট পড়েনি। শান্ত-জয় খেলছিলেন নিখুঁত। মায়ার্সের বলে খোঁচা দিয়ে ফেরেন শান্ত। এরপর মুমিনুল এসেও হাল ধরতে পারেননি। লিটনও ফেরেন অহেতুক শট খেলতে গিয়ে। আর লাঞ্চের ঠিক আগে ধাক্কা খায় জয়ের উইকেট হারিয়ে। এই সেশনে বাংলাদেশ ৬৫ রান করে।

লাঞ্চের আগে আউট ভরসা হয়ে মাঠে থাকা জয়

ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ খেলছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও ছিল দারুণ। কিন্তু লাঞ্চের আগে এসে রোচের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাক অব লেন্থের আউটসাইড অফের বল খোঁচা দেন জয়। ১৫৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। তার ব্যাটিংয়ে ছিল দৃড়তা। বলের পর বল ডট দিয়েছেন, ছেড়েছেন। শেষ পর্যন্ত পারলেন না। জয়ের আউটে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা বাংলাদেশের সামনে। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী নুরুল হসান সোহান। এই জুটিই এখন শেষ ভরসা।  

এবার আউট লিটন, বিপদে বাংলাদেশ

এবার আউট হলেন লিটন দাস। ১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। কেমার রোচের করা আউটসাইড অফের ওয়াইড লেন্থ বল। লিটন অফে খেলতে চেয়েছিলেন, ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। কানায় লেগে যায় প্রথম স্লিপে। মায়ার্স তালুবন্দি করতে ভুল করেননি। মাঠে এসে তিন চারে দারুন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সহ অধিনায়ক। এই মুহূর্তে প্রয়োজন ছিল জুটি। কিন্তু হাল ধরতে পারেননি লিটন। অহেতুক শট খেলতে যেয়ে ১৭ রানে ফেরেন সাজঘরে। 

ধাবাহিকভাবে ব্যর্থ মুমিনুল

বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুইতে ৮৮ রানের ইনিংসের পর ১২ ইনিংসে তার মোট রান ৭৮! এ সময়ে চার ইনিংসেই রানের খাতা খুলতে পারেননি। দশ ইনিংসে যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। সবশেষ টানা নয় ইনিংসে একই দুর্দাশা। সর্বোচ্চ রান ৩৭, যেখানে ইনিংসের শুরুতেই পেয়েছিলেন জীবন।

আবারও ব্যর্থ মুমিনুল, আউট ৪ রানে

মুমিনুল হক আবারও ব্যর্থ। ফিরলেন মাত্র ৪ রান করে। এই রানও পেয়েছিলেন ইনসাইড এজ থেকে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। কাইল মায়ার্সের করা ৩৫তম ওভারের প্রথম বলেই হতে পারতেন রানআউট। অল্পের জন্য বেঁচে যান। কিন্তু তৃতীয় বলে আর রক্ষা হয়নি। ফুলার লেন্থের ইনসুইঙ্গার ফ্রন্ট ফুটে যেয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। বল লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। আম্পায়ার্স কলে কাটা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। জয়ের সঙ্গী লিটন দাস। 

দারুণ শুরুর আভাস দিয়ে ফিরলেন শান্ত

নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারলেন না। দারুণ শুরুর আভাস দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। দিনের শুরু থেকে শান্তর খেলা ছিল পিওর। আউট হওয়ার দুই ওভার আগেও জায়দিন সিলসকে ওয়াইড মিড অফে দারুণ শটে চার হাঁকান।  কাইল মায়ার্সের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বল। বল পিচড হওয়ার অফসাইড দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। এক্সট্রা বাউন্স ছিল। শান্ত খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ করতে পারেননি। ধরা পড়েন সেকেন্ড স্লিপে জন ক্যাম্পবেলের হাতে। ৪৫ বলে ১৭ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।  ব্যাটিংয়ে জয়ের সঙ্গী মুমিনুল হক। 

কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিন শনিবার (১৮ জুন) ব্যাটিংয়ে নামছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দল পিছিয়ে আছে ১১২ রানে। এই রান করে জিতিতে হলে আর বড় সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য তা কঠিনই বটে। মাহমুদুল হাসান জয় ৮ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রানে দিন শুরু করেন। 

জেতার জন্যই লড়বে বাংলাদেশ

দিনশেষে বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, তারা পাঁচদিন খেলতে চান। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং খারাপ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা ভালো করবেন বলেই তার বিশ্বাস।

‘আমরা আসলে উইন্ডিজকে আরও কম রানে অলআউট করতে চেয়েছিলাম। হয়তো ১০-২০ রান বেশি হয়ে গেছে। তবে আমরা চেষ্টা করেছি। উইকেট খুবই ভালো। বোলারদের জন্য খুব বেশি সহায়ক না। তবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ইনশাল্লাহ ভালো খেলবে।’

এই টেস্ট পাঁচদিন খেলতে চাওয়ার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা জেতার জন্যই খেলবো। তবে চেষ্টা করবো পাঁচদিন খেলার। ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে রান দিলে সেটা সম্ভব।’

অস্বস্তিতে দ্বিতীয় দিন শেষ 

অস্বস্তিতে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫০ রান। এখনো পিছিয়ে ১১২ রানে। 

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬২ রানের লিড সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল সতর্ক। তামিম-জয়ের ব্যাট ছিল সাবধানী। দশম ওভারে আলঝারি জোসেফের শিকার হয়ে তামিম ফিরলে মাঠে আসেন নাইটওয়াচম্যান মিরাজ। তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। তামিম ২২ রান করেন। আর মিরাজ ফেরেন ৬ বলে ২ রান করে। দুটি উইকেটই নেন জোসেফ। ৬০ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। আর শান্ত ২৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত আছেন। শেষ দিকে পায়ের ব্যথায় কাতরাতে দেখা যায় শান্তকে। ফিজিও এসে দেখেন। পরে ব্যাটিং করলেও অস্বস্তি দেখা যায় তার মাঝে। তৃতীয় দিনের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত উইকেট হারালেই বাড়বে বিপদ। আজ সারাদিনে খেলা হয়েছে ৮৪.৫ ওভার। উইকেট পড়েছে ১০টি। ৮টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর ২টি বাংলাদেশের। এখনো চালকের আসনে স্বাগতিকরা। 

ঢাকা/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়