‘লাইফ ইজ নট আ বেড অব রোজেস’
ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

শেষ বলে স্রেফ একটা ছক্কার দরকার ছিল ইয়াসির আলী রাব্বীর। ঢাকায় আগের ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের দেওয়া ১০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি। এবার ১৬৬ রান করতে গিয়ে খুব কাছে গিয়ে আরেকটি হার নিশ্চয়ই সহ্য করতে পারবেন না খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক! কিন্তু তেমন কিছুই হলো না চট্টগ্রামের ২২ গজে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেনের ফুলার লেন্থে ব্লক হোলের বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি ইয়াসির। খুলনা এবার হেরে যায় ৪ রানে। তাই তো বিমর্ষ ইয়াসির ম্যাচ নিয়ে কোনো কথাই বলতে পারলেন না সংবাদ সম্মেলনে। বারবার নিজের মুখ লুকাচ্ছিলেন। বিষণ্ন হয়ে বলেছেন, ‘শেষ বলে... ছক্কা। এক বলে ছয় রান লাগে ম্যাচ জিততে। ওর পরিকল্পনা আমি জানতাম যে, ও ব্লকে করবে। ওখানে তো এক্সিকিউট করা কঠিন সব সময়। আর ও স্পিনার। একটা যদি এদিক-ওদিক হয়। আমি হিট করতে পারবো।’
লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাচেই ছিল খুলনা। শাই হোপ ও মাহমুদুল হাসান জয় যখন ব্যাটিংয়ে ছিলেন, মনে হচ্ছিল সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। কিন্তু জয় ১৩ বলে ২৬ করে বিদায় নিলে ছন্দপতন হয় খুলনার। ইয়াসির ওই সময়টার কথাই বললেন, ‘আমরা ভালো পথেই ছিলাম। কিন্তু ছিটকে যাই জয় আউট হওয়ার পর। ছন্দটা নষ্ট হয়ে যায়। এরপরও হোপ ছিল। কিন্তু ও আউট হওয়ার পর আমার জন্য কঠিন হয়ে যায়।’
ইয়াসির ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু জেতাতে পারেননি। এর আগে চট্টগ্রামে তার ১৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে ঠিকই জিতেছিল খুলনা। ফিনিশিংয়ে ইয়াসির পারদর্শী। তবে কোনোদিন হবে, কোনোদিন হবে না। এ শিক্ষা মেনে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাচ্ছেন ইয়াসির, ‘শিক্ষা... এটা শিক্ষা, কীভাবে খারাপ সময়ে কেমন থাকতে হয়, খারাপ সময় কী করে নিজেকে ধরে রাখতে হয়, কী কাজ করতে হয় না করতে হয়। এটাই।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘ভেঙে পড়িনি। কষ্ট তো লাগে সবসময়। খারাপ তো লাগে, যখন খারাপ খেলি। ভেঙে পড়ার মতো কিছু হলে তো জীবন চলবে না। ওরকম কিছু না। লাইফ ইজ নট আ বেড অব রোজেস। খারাপ সময় আসবে, খারাপ সময় উতরাতে হবে। আমার চেয়ে বেশি খারাপ সময় আরো অনেকের গিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলি। নিজেকে ইতিবাচক জায়গা রাখার চেষ্টা করি, এটাই।’
সিলেট/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন