ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

‘প্রয়োজনে’ বদলে গেছে টি-টোয়েন্টির ধরন

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৭, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  
‘প্রয়োজনে’ বদলে গেছে টি-টোয়েন্টির ধরন

২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পথচলা শুরু। অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল ধুমধারাক্কা এ ফরম্যাট। পরের বছর আগস্টে ইংল্যান্ডের সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে পাকিস্তান। যে ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন শোয়েব মালিক।

পাকিস্তানের ওই দলের কেবল কামরান আকমল খেলছেন স্বীকৃত ক্রিকেট। বাকিরা ক্রিকেট ছেড়েছেন বহুদিন হলো। কামরানের ক্যারিয়ার কেবল পাকিস্তানেই সীমাবদ্ধ। মালিক টি-টোয়েন্টি ফেরি করে বেড়াচ্ছেন বিশ্বজুড়ে। তাইতো এই ফরম্যাটের পালাবদল মালিকের চেয়ে বেশি আর কেউ দেখেননি। তার কাছেই টি-টোয়েন্টির বদল নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল নয়নাভিরাম সিলেট স্টেডিয়ামে।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএল খেলতে আসা এ ক্রিকেটার বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরুর সময় ১৩০-১৪০ রান অনেক ক্ষেত্রেই ছিল যথেষ্ট। এখন উইকেট যদি ভালো হয়, ২২০-২৩০ রানও নিরাপদ নয়। শুরুর দিনগুলোর চেয়ে তাই অনেক কিছুই এখন বদলে গেছে।’

বিশ্বের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচ’শ-এর বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় মালিক। ৪৯৮ ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার। তার চেয়ে বেশি ম্যাচ আছে কেবল ডোয়াইন ব্রাভো (৫৫৬) ও কাইরন পোলার্ডের (৬১৪) । বিপিএল, পিএসএল, সিপিএল, আইপিএল, বিগব্যাশ, এসএলপিএল সহ সব লিগেই পড়েছে তার পদচিহ্ন।

১৯৯৭ সালে ক্রিকেটে পথচলা শুরু করা এ ক্রিকেটারের বয়স ৪১ পেরিয়েছে। এ ফরম্যাটে নিজেকে আপ টু ডেট রাখতে নিত্যদিন নতুন করে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানালেন মালিক।

‘ক্রিকেটার হিসেবে সবার দায়িত্ব সময়ের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকা, যেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে টিকে থাকা যায় এবং নিজের খেলার ধারাবাহিক থাকা যায়, দলের জন্য সহায়ক থাকা যায়। বছরের পর বছর ধরে আমি এটাই করার চেষ্টা করছি যেন সময়ের চেয়ে একধাপ এগিয়ে থাকা যায়, যাতে যেখানেই খেলতে যাই না কেন, দলের চাহিদা যেন মেটাতে পারি।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অভিজ্ঞতায় মালিকের ধারে কাছেও কেউ নেই। সাকিব আল হাসান খেলেছেন ৪৯১ ম্যাচ। তরুণরা তো ঢের পিছিয়ে। বাংলাদেশের তরুণরা যতটা পারছেন তার সঙ্গে কথা বলে ক্রিকেটীয় মেধার চর্চা করছেন, ‘তারা আমাকে অনেক প্রশ্ন করে। যেহেতু আমি দলের সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার, অনেকেই আমার কাছে আসে এবং নানা কিছু জানতে চায়। আমারও ওদেরকে সহায়তা করতে পেরে ভালো লাগে। ব্যাপারটি দলের ভেতর নিজের অভিজ্ঞতা ভাগভাগি করে দেওয়া। এমনকি অন্য দল থেকে কেউও যদি আসে, আমি তার সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করি। যে কোনো ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সবসময়ই তৈরি আছি।’

২২ বছর ৩৭ দিনের ক্যারিয়ার মালিকের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে রয়েছে তার সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে রয়েছে ৭৫ ফিফটি। সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি একবারও। ফিনিশারের ভূমিকায় থাকায় তার সেই সুযোগও পাওয়া হয়নি খুব একটা। তবে টি-টোয়েন্টিতে একটি সেঞ্চুরির আশাও পূরণ করার ইচ্ছা আছে তার।

‘আমি নিশ্চিতভাবেই চেষ্টা করব (সেঞ্চুরির)। হয়তো ওপেন করা শুরু করতে হবে! আমি মিডল অর্ডারে ব্যাট করি। দলের চাওয়া থাকে, খেলা শেষ করে আসা। দলের জন্য ফিনিশার হওয়া নিয়েই তাই মূলত আমার ভাবনা থাকে। এজন্যই হয়তো আপনারা আমার কাছ থেকে সেঞ্চুরি পাননি।’

‘একবার মনে আছে আমার, ওপেন করেছিলাম এবং ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলাম। পরে মনে হচ্ছিল, আর পাঁচ-ছয় রান যদি হতো! তবে ব্যাপারটি হলো, আমি সবসময় দলের জন্য খেলি এবং ফিনিশারের ভূমিকাটাই সবচেয়ে প্রাধান্য পায়। যদি কখনও সুযোগ আসে, শতরানের কাছাকাছি যদি যেতে পারি, সেঞ্চুরির সব চেষ্টাই করব।’

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়