ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

তৃতীয় দিনে ভালো কিছুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ২৩ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ২১:১৯, ২৩ মার্চ ২০২৪
তৃতীয় দিনে ভালো কিছুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিলেটে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ২১১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে। হাতে তাদের এখনো আছে ৫ উইকেট। বাংলাদেশকে তিনশর বেশি লক্ষ্য চতুর্থ ইনিংসে ছুঁড়ে দিতে চায় শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য তিনশর বেশি রানকেই যথেষ্ট মনে করছে তারা।  বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? কি ভাবছে দল? জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পের কাছে।

দলের প্রতিনিধি হয়ে শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে হেম্প বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই হতাশ ৫১ ওভারের বেশি ব্যাটিং করতে না পেরে। এটা সত্যিই বিরক্তিকর কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে। আমরা ওদের কয়েকটি উইকেট পেয়েছি কিন্তু ভাগ্যকে পাশে পাইনি নয়তো আরো কিছু উইকেট পেতে পারতাম। ২১১ রানে তারা এগিয়ে আছে। আমরা যদি আগামীকাল দ্রুত উইকেট পেতে পারি তাহলে ২৫০ রানে লক্ষ্য আটকে রাখার চেষ্টা করবো।’

শ্রীলঙ্কার করা ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৮৮ রানের বেশি করতে পারেনি। ৯২ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ১১৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া ব্যাটসম্যানরা কেউই পারেননি হাল ধরতে। লড়াই করতে।

গতকাল নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল আজও নেমেছিলেন ব্যাটিংয়ে। অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের অধৈর্য্যের দিনে তাইজুল থিতু হওয়ার পর নিজের উইকেটের মূল্য বুঝেছিলেন। ১৪৭ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান। লেজের একজন ব্যাটসম্যান যেভাবে দলের হয়ে লড়াই করেছেন তাতে খুশি কোচ হেম্প।

‘আমরা তার ব্যাটিং নিয়ে আজ আলোচনা করেছি। ক্রিকেটে যে কোনো দিনই এক থেকে এগার পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের অবদান রাখার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে সেই সুযোগটি বেশি। আমরা সব সময়ই বলি লোয়ার অর্ডার থেকে যখন কোনো অবদান আসবে তা দলের কাজে আসবে। ৮০টির মতো বল খেলেছে যা সত্যিই দারুণ প্রচেষ্টা। নিজেদের নিয়ে আমরা অবশ্যই গর্ব করতে পারি।’

এই টেস্টে থাকার কথা ছিল মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু ইনজুরিতে পড়ে তার খেলা হচ্ছে না। মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের অভাব অনুভব হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে হেম্প বলেছেন, ‘অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে হারানো যে কোনো দলের জন্য হতাশার। পাশাপাশি এটা অন্যদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের। দিপুর কথাই ধরুন। তার পা উইকেটে বেশ ভালো সচল ছিল। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করছিল। যেটা ভালো দিক। কারো ইনজুরি আমাদের হাতে নেই। তাই এগিয়ে যেতেই হবে।’

উইকেট নিয়ে কোচের মূল্যায়ন, ‘প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই বললো উইকেট ভালো। তারা ভালো শট খেলার অপেক্ষায়। শেষ সেশনে কয়েকটি বল নিচু হয়েছে। কিন্তু সেগুলো দূর দিয়েই চলে গেছে। এখানে যদি ঠিকঠাক মতো পরিকল্পনা কাজে লাগানো না যায় তাহলে খারাপ কিছু পেতে হবে। আমরা উইকেট থেকে এখনো খারাপ কিছু পাইনি। আশা করছি কালকেও ভালো কিছু হবে।’

সিলেট/ইয়াসিন/বিজয়

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়