ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

২৭ রানের জয়ে বাংলাদেশের সিরিজ শুরু

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১৭ মে ২০২৫   আপডেট: ০৮:২১, ১৮ মে ২০২৫
২৭ রানের জয়ে বাংলাদেশের সিরিজ শুরু

বাংলাদেশ: ১৯১/৭ (২০ ওভার)

আমিরাত: ১৬৪/১০ (২০ ওভার)

ফল: বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী 

১৬৪ রানে অলআউট হলো আমিরাত। ঝড়ো ব্যাটিং করেও ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা। দারুণ বোলিং করেন হাসান-মোস্তাফিজ। ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান। আর কৃপণ মোস্তাফিজ মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এই দুজন ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন। আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন ওয়াসিম। ২১ বলে ৪২ রান করে চোখ রাঙ্গানি দেন আসিফ। ৩৫ রান আসে রাহুলের ব্যাট থেকে। এর আগে ইমনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৯২ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। 

দুই ওভারে আমিরাতের প্রয়োজন ৩৪ রান

এক প্রান্তে উইকেট পড়লেও আরেক প্রান্তে ঝড় তুলছিলেন আসিফ। তবে টানা দুই ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে সঞ্চিত-জুহাইবের উইকেট তুলে নিয়ে স্বস্তি এনে দেন হাসান-মোস্তাফিজ। তাতে চাপে পড়ে আমিরাত। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ৩৪। ক্রিজে আছেন হুমকি হয়ে আসিফ। 

ফিরলেন ধ্রুব, চোখ রাঙাচ্ছেন আসিফ

তানভীরের ঘূর্ণিতে ফিরলেন ধ্রুব। আউট সাইড অফের বল চালিয়ে দিয়ে ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার শান্তর হাতে। ৭ বলে ৩ রান করেন ধ্রুব। পঞ্চম উইকেট হারালো আমিরাত। অন্য প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে যাচ্ছেন আসিফ। ক্রিজে তার সঙ্গী সঞ্চিত। 

রাহুলকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরালেন তানজীম

ওয়াসিমের মতো রাহুলও ঝড়ো ব্যাটিং করছিলেন। অবশেষে তাকে থামালেন তানজীম। ২২ বলে ৩৫ রান করেন রাহুল। ক্রিজে আসিফের সঙ্গী ধ্রুব। 

ঝড়ের পর থামলেন ওয়াসিম, চোখ রাঙাচ্ছেন রাহুল

শুরু থেকেই ওয়াসিম ঝড়ো ব্যাটিং করছেন। পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে দুই উইকেট পড়লেও থামেননি এই ব্যাটার। সঙ্গী রাহুলকে নিয়ে ফিফটির জুটি গড়ে নিজেও ৩২ বলে তুলে নেন ফিফটি। দুজনের জুটিতে ভর করে ১০.২ ওভারে শতরান পার করে আমিরাত। এরপরই তানজীমের আঘাতে ফেরেন ওয়াসিম।  ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন ওয়াসিম। সঙ্গী রাহুল এখনো আছেন ক্রিজে। তার সঙ্গে যোগ দিলেন আসিফ খান। 

আমিরাতের ঝড়ো শুরুর পর হাসান-মোস্তাফিজের আঘাত

মোহাম্মদ ওয়াসিমের ব্যাটে ঝড়ো শুরু করে আমিরাত। ওভার প্রতি তুলছিল ১০ রান। চতুর্থ ওভারে এসে হাসান তুলে নেন জুহাইবকে। ৯ রানে ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার শান্তর হাতে। মোস্তাফিজের করা পরের ওভারেই খোঁচা দিয়ে ফেরেন নতুন ব্যাটার শারাফু। ক্রিজে ওয়াসিমের সঙ্গী রাহুল। দুজনের ব্যাটে ফিফটি পেরিয়ে এগোচ্ছে দল। পাওয়ার প্লেতে দলটি ৫২ রান তোলে। 

অষ্টম ম্যাচেই ইমনের সেঞ্চুরি, ১৯১ রানে থামলো বাংলাদেশ

ইমন একাই একশ। আর বাকি ৭ ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৯১ রান। তাতে বাংলাদেশ ১৯২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে। ৫৪ বলে ১০০ রান করেন ইমন। ২০ রান আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। আর কেউ এর বেশি করতে পারেননি। এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও ইমন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঝড়ো ব্যাটিং করে যান। আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জাওয়াদুল্লাহ। 

দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ইমনের সেঞ্চুরি 

আগের ৭টি-টোয়েন্টিতে কোনো ফিফটি ছিল না। আমিরাতের বিপক্ষে অষ্টম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই দেখা পেলেন সেঞ্চুরির। পারভেজ ইমন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন মাত্র ৫৩ বলে। এর আগে ফিফটি করেন ২৮ বলে। ৫টি চার ও ৯টি ছক্কায় সাজানো ছিল সেঞ্চুরির ইনিংসটি। সেঞ্চুরির পরের বলেই ফেরেন সাজঘরে। ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছিলেন। এক প্রান্তে উইকেট পড়েলেও দমে যাননি ইমন। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি ছিল শুধু তামিমের। ওমানের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। ৯ বছর পর সেটি ভাঙলেন ইমন। 

সেঞ্চুরির পথে ইমন, অন্য প্রান্তে উইকেটের মিছিল

জুহাইবকে ছক্কা মারতে গিয়ে বিদায় নিলেন জাকের আলী। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৪ রান। অন্য প্রান্তে ইমন ঝড়ো ব্যাটিং করে যাচ্ছেন। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার শামীমও কিছু করতে পারেননি। ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ক্রিজে একাই লড়ছেন ইমন। শামীম ফেরার পর তার সঙ্গী তানজীম। 

ফিরলেন মেহেদী 

এক প্রান্তে ইমন ঝড় তুলছেন অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে বাংলাদেশ। হৃদয়ের পর ক্রিজে এসে দ্রুত ফেরেন মেহেদী। জাওয়াদুল্লাহর বলে খোঁচা দিয়ে মেহেদী ফেরেন সাজঘরে। ৫ বলে ২ রান করেন এই ব্যাটার। ক্রিজে ইমনের সঙ্গী জাকের আলী। এখন পর্যন্ত ইমনের রান ৪২ বলে ৭৩। প্রতি ওভারেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি। 

পারলেন না হৃদয়

পরপর ছক্কা-চার হাঁকিয়ে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি হৃদয়। পারশারের আউট সাইড অফের বলে ক্যাচ তুলে দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। ১৫ বলে ২০ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ক্রিজে ইমনের সঙ্গী মেহেদী।  

২৮ বলে ইমনের প্রথম ফিফটি

সঞ্চিত শর্মাকে ওভারে ৩ ছক্কা মেরে ফিফটির কাছে চলে গিয়েছিলেন ইমন। শেষ বলে বাই চার হওয়ায় আর ফিফটি হয়নি। পরের ওভারে চার মেরে মাত্র ২৮ বলে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায়। তার ফিফটির সঙ্গে ৯.৪ ওভারে বাংলাদেশ শতরাণ পূর্ণ করে। 

অধিনায়ক লিটন থামলেন ১১ রানে

৮ বলে ১১ রান করে বিদায় নিলেন অধিনায়ক লিটন। জাওয়াদুল্লাহর নিচুতে যাওয়া ইয়র্কারে পরাস্ত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তানজীদের বিদায়ের পর ইমনের সঙ্গে জুটিতে রান বাড়ছিল। কিন্তু সেটি স্থায়ী হয়নি। ক্রিজে ইমনের সঙ্গী হৃদয়। 

তানজীদের বিদায় 

১০ রানের বেশি করতে পারেননি ওপেনার তানজীদ তামিম। লম্বা হয়নি পারভেজ ইমনের সঙ্গে জুটির। অভিষিক্ত মতিউল্লাহ খানের আউটসাইড অফের বলে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। একটি করে চার-ছয় হাঁকান তানজীদ। বাউন্ডারি ছাড়া কোনো রান আসেনি তার ব্যাট থেকে। ক্রিজে ইমনের সঙ্গী লিটন। 

বিশ্রামে রানা-রিশাদ, একাদশে নেই শান্ত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাটিং করবে লিটন দাসের দল। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে।

বিশ্রামে রানা-রিশাদ 

বাংলাদেশ জাতীয় দল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। রিশাদ ও রানা বাদে বাকি সব ক্রিকেটার, কোচিং এবং সাপোর্টিং স্টাফ বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারলেও ইমিগ্রেশন বিভাগ আটকে রেখেছিলো তাদেরকে। টানা দুদিন বিমানবন্দরে কাটানোর পর গতকাল রাত ২টার পর তাদেরকে দুবাই প্রবেশের অনুমতি দেয় সংশ্লিষ্টরা। এর পর দলের সঙ্গে যোগ দেন তারা। দুজনকে বিশ্রামে রেখে একাদশ গড়েছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশ একাদশ

লিটন দাস (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলী , শামীম হোসেন, মাহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

আরব আমিরাত একাদশ

মোহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), মুহাম্মদ জোহাইব, আলিশান শরাফু, রাহুল চোপড়া, আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, সঞ্চিত শর্মা, মুহাম্মদ জুহাইব, মতিউল্লাহ খান, হায়দার আলী, মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ। 

ঢাকা/রিয়াদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়