দুইশ রানেও আমিরাতের কাছে বাংলাদেশের হার
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ: ২০৫/৫ (২০ ওভার)
আমিরাত: ২০৬/৮ (১৯.৫)
ফল: আমিরাত ২ উইকেটে জয়ী।
বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ১ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় আমিরাত। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। তানজীম সাকিবের করা ওভারের ১ বল বাকি থাকতেই নিয়ে নেয় আমিরাত। একটি উইকেট নিলেও নো-বলই কাল হয়ে দাঁড়ায়। শেষে ৬ বলে ১৫ রান নিয়ে দারুণ অবদান রাখেন হায়দার আলী। রান আউটের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি হৃদয়। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয় ওপেনিং জুটি। ১০ ওভার শেষের আগেই ১০০ পার করে ফেলে ওয়াসিম-জোহাইব। ৩৮ রানে জোহাইব ফিরলে ভাঙে ১০৭ রানের জুটি। ওয়াসিম মাত্র ৪২ বলে করেন ৮২ রান। এ ছাড়া আসিফ খান ১৯ ও আলিশান ১৩ রান করেন। দুই পেসার তানজীম-রানা ছিলেন খরুচে। তানজীম ৫০ ও রানা ৫৫ রান দেন। রানা ২ উইকেট নিলেও তানজীম নেন ১ উইকেট।
ওয়াসিমকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন শরিফুল
শরিফুলের আউটসাইড অফের বলে ব্যাট চালিয়ে বসেন ওয়াসিম। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন জাকের আলী। উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। ৪২ বলে ৮২ রান করেন ওয়াসিম। ক্রিজে আসিফের সঙ্গী আলিশান।
পরপর দুই উইকেটের পতনে স্বস্তি
ঝড়ো শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতন। পানি পানের বিরতির পর ওপেনার জোহাইবকে ফেরান তানভীর। জোহাইবের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। তার আউটে ভাঙে ১০৭ রানের জুটি। এরপরই ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটারকে ফেরান রিশাদ। ২ রানে ফেরেন রাহুল। ক্রিজে ওয়াসিমের সঙ্গী হন আসিফ খান।
রান তাড়ায় আমিরাতের ঝড়ো শুরু
আমিরাতের দুই ওপেনার জোহাইব-ওয়াসিম দারুণ শুরু করেন। পাওয়ার প্লেতে দুজনে তোলেন ৬৮ রান। ওভার প্রতি ১০ রানের বেশি। ফিফটির জুটি হয় ২৯ বলে।
২০৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল বাংলাদেশ
আমিরাতকে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে থামলো বাংলাদেশ। শুরুটা করে দিয়েছিলেন তানজীদ। ইনিংস শেষ করে না আসতে পারলেও শেষে রানের চাকা সচল রাখেন হৃদয়-জাকের। মাঝে লিটন-শান্ত ভিত গড়ে দেন। সর্বোচ্চ ৫৯ রান আসে তানজীদের ব্যাট থেকে। হৃদয় করেন ৪৫। লিটন ফেরেন ৪০ রানে। এ ছাড়া শান্ত ২৭ ও জাকের ১৮ রান করেন।
শান্তর ব্যাট থেকে এলো ১৯ বলে ২৭
দুটি চার ও ১টি ছয়ের মারে ১৯ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন মেরে খেলার চেষ্টা করেন সদ্য সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তার আউটে ভাঙে হৃদয়ের সঙ্গে গড়া ২৫ বলে ৩৮ রানের জুটি। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী জাকের আলী।
জীবন পেয়েও চল্লিশে থামলেন লিটন
১০ রানে জীবন পেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ৩২ বলে ৪০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। জাওয়াদুল্লাহর বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাগির খানের হাতে। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হৃদয়।
৩৩ বলে ৫৯ রান করে তানজীদের বিদায়
শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিলেন ওপেনার তানজীদ। ঝড়ো ফিফটির পর এগোচ্ছিলেন। এরপর অভিষিক্ত সাগিরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন স্কয়ার লেগে। ৩৩ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ছিল ইনিংসটি। তার বিদায়ে ভাঙে ৯০ রানের ওপেনিং জুটি। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী শান্ত।
২৫ বলে তানজীদের ফিফটি
হাটু গেড়ে হায়দার আলিকে স্কয়ার লেগ দিয়ে বল পাঠান বাউন্ডারির বাইরে। ছক্কা। তানজীদ ২৫ বলে পেয়ে যান ফিফটির দেখা। বাংলাদেশ পায় দারুণ শুরু। তার ফিফটির ইনিংসটি সাজানো ৭টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। তানজীদের ফিফটিতে ভর করে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৬৬ রান তোলে। লিটনের সঙ্গে জুটি ফিফটি পেরিয়ে এগোচ্ছে শতরানের দিকে।
জীবন পেলেন লিটন
তানজীদ-লিটনের ব্যাটে ঝড়ো শুরু করে বাংলাদেশ। ঝড়ো ব্যাটিংটা প্রথমে শুরু করেন তানজীদ। তৃতীয় ওভারে হাত খোলেন লিটন। এক বল গ্যাপ দিয়ে দুই চার হাঁকান। শেষ বলে জীবন পান জাওয়াদুল্লাহর হাতে। ফ্লিক করলে ফাইন লেগে বল যায় তার হাতে। কিন্তু তালুবন্দি করতে পারেননি। ১০ রানে জীবন পান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-আরব আমিরাত। প্রথম ম্যাচে জিতে সিরিজে এগিয়ে যাছে বাংলাদেশ। সোমবার (১৯ মে) শারজায় টস হেরে ব্যাটিং করবে লিটন দাসের দল। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খেলাটি শুরু হবে। আজ জিতলেই নিশ্চিত হবে সিরিজ।
রানার অভিষেক
টেস্ট-ওয়ানডেতে গতির ঝড় তুলেছিলেন, অপেক্ষায় ছিলে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের। অবশেষে নাহিদ রানার টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়ে গেলো। এর আগে ১৭টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে রানা ১৪টি উইকেট নিয়েছেন।
একাদশে রানা-রিশাদ
দুবাই বিমানবন্দরে দুই দিন আটকে থাকার কারণে অনুশীলন করতে পারেননি নাহিদ রানা-রিশাদ হোসেন। প্রথম ম্যাচে দুজনে ছিলেন বিশ্রামে। দ্বিতীয় ম্যাচে দুজনকে রেখে একাদশ সাজানো হয়েছে। চার পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ একাদশে। মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে, বিশ্রামে রাখা হয়েছে পারভেজ ইমন, হাসান মাহমুদ ও শেখ মাহাদীকে। রিশাদ-রানার সঙ্গে একাদশে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত-শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম, নাহিদ রানা।
আমিরাত একাদশ
মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আরিয়ানশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), আলিশান শরাফু, রাহুল চোপড়া, আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, মুহাম্মদ জোহাইব, হায়দার আলী, মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ, মতিউল্লাহ খান, সাগির খান।
বেড়েছে ম্যাচ
আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ বেড়ে তিনটি হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুরোধে একটি ম্যাচ বাড়িয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। সরাসরি পাকিস্তান সিরিজ খেলতে যাওয়ার লক্ষ্যেই মূলত আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের ম্যাচ বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা/রিয়াদ