পেসারদের প্রতিযোগিতায় খুশি খালেদ
জাতীয় দলের হয়ে কেবল একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। উইকেট পাননি। টেস্ট দলের নিয়মিত এই ক্রিকেটার সীমিত পরিসরে খুব একটা সুযোগ পান না। ১৬ টেস্টের বিপরীতে ওয়ানডে খেলেছেন দুইটি।
তবে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্লোবাল সুপার লিগে খালেদ যেভাবে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাতে নির্বাচকরা তার দিকে নজরও দিতে পারেন। ৪ ইনিংসে পেয়েছেন ১১ উইকেট। বোলিং গড় ৭.৮২। রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে ছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। দল চ্যাম্পিয়ন হলে খালেদ টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়েও টিকে যেতেন।
তবে প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি দলে খালেদের কী সুযোগ আছে? যারা নিয়মিত খেলছেন তাদের মধ্যে কাকে বাদ দেবেন নির্বাচকরা?
তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব টি-টোয়েন্টিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলছেন। তাদের সঙ্গে আছেন সাইফ উদ্দিন, হাসান মাহমুদ। সঙ্গে খালেদ আহমেদের নামটাও আসছে। একটা সময়ে পেস আক্রমণের মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠত। এখন নতুন বলে পেসাররাই ভরসা। ফরম্যাট বদলালেও তারা শুরুতেই এনে দিতে পারছেন সাফল্য। ভরসা হয়ে উঠায় তাদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতাকে বেশ সাধুবাদ জানিয়েছেন খালেদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘‘অবশ্যই প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। এটা যেকোনো দেশের জন্যই ইতিবাচক। দেখুন, আপনি যখন প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবেন তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বাড়বে। আমি আমার নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমার ফিটনেস আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে আমি অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি যদি পিছিয়ে যাই, তাহলে অনেক পিছিয়ে পড়ব। তাই আমার চেষ্টা থাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার।’’
দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে খালেদ যোগ করেন, ‘‘এটা ভালো একটা সুযোগ ছিল। যেহেতু এটা গ্লোবাল একটা টুর্নামেন্ট ছিল এবং বিভিন্ন দেশের দল খেলতে গিয়েছিল। পাঁচটি দেশের প্রতিনিধি ছিল। আমি বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলাম। আমরা সব দলের সাথেই খেলেছি। আমার ভালো লেগেছে যে সবাই আমার খেলা দেখতে পেরেছে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো পারফর্ম করার। কারণ, এখানে ভালো করলে একটি পরিচিতি পাওয়া যাবে এবং সবাই দেখবে যে আমি ভালো খেলছি।’’
শ্রীলঙ্কায় টেস্ট একাদশে সুযোগ না পেয়ে সাদা বলে অনুশীলন করছিলেন খালেদ। সেখান থেকেই শুরু হয় তার গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার প্রস্তুতি। পাশে পেয়েছিলেন পেস বোলিং কোচ শন টেইটকে। তবে স্থানীয় দুই কোচ নাজমুল হোসেন ও তালহা জুবায়েরকে নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানালেন তিনি, ‘‘শন টেইটের সঙ্গে কথা হয়। সে একটা কথাই বলেন, যা আমি বিপিএলের সময়েও বলেছি। সে আমাকে সিম্পল খেলতে বলেছেন এবং বিভ্রান্ত না হতে বলেছেন। কারণ, বিভ্রান্ত হলে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। সে আমাকে যতটা সম্ভব সিম্পল ও সোজাসাপ্টা থাকতে বলেছেন। এছাড়া আমাদের স্থানীয় কোচ বিশেষ করে নাজমুল ভাই ও তালহা ভাইয়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়। খেলার আগের দিনও নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে কী করলে ভালো হয়। যেহেতু আমাদের কোনো বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ ছিলেন না, তাই আমি শন টেইটকে পাইনি। তখন আমি নাজমুল ভাইকে ফোন করেছিলাম এবং সেও একই কথা বলেছিলেন—প্রতিটি ওভারে কীভাবে খেলায় ফেরা যায়, সেই চিন্তা করতে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল