দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের ৫ গোল
সিউলের উজ্জ্বল রাতে ঝলমল করল ব্রাজিলের তরুণরা। আক্রমণভাগের উচ্ছ্বাস, পায়ের জাদু আর নিখুঁত পাসিং; সব মিলিয়ে যেন চোখধাঁধানো ফুটবল উৎসব। সেই উৎসবেই দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিল ৫-০ ব্যবধানে। জোড়া গোল করেছেন এস্তেভাও উইলিয়ান ও রদ্রিগো। আর শেষের কাঁটায় চূড়ান্ত ছন্দে গোল করে উৎসবের পূর্ণতা দেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
তরুণ এস্তেভাওয়ের বয়স মাত্র ১৮ বছর। কিন্তু খেলার পরিপক্বতায় অনেক পরিণত। চেলসির নবীন ফরোয়ার্ড এস্তেভাও শুরুতেই বুঝিয়ে দেন, কেন তাকে নিয়ে এত আলোচনা। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ব্রুনো গিমারায়েসের নিখুঁত পাস থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।
প্রথমার্ধের শেষদিকে সুযোগ তৈরি করেন দলের অধিনায়ক কাসেমিরো। তার বুদ্ধিদীপ্ত থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে রদ্রিগো দারুণ এক নিয়ন্ত্রিত ফিনিশে বল পাঠান পোস্টের নিচের কোনায়। ৪১ মিনিটেই ব্যবধান ২-০, আর কোরিয়ার রক্ষণ তখন দিশেহারা।
বিরতি শেষে ব্রাজিল নামল আরও ছন্দে, আরও ক্ষুধায়। ৪৭তম মিনিটে আবারও গোল এস্তেভাওয়ের। বক্সের ভেতরে নিখুঁত নিয়ন্ত্রণে নেওয়া শট সোজা জালের ভিতর। মাত্র দুই মিনিট পর, ৪৯তম মিনিটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন রদ্রিগো। যা ছিল তার দ্বিতীয় গোল। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে যেন ম্যাচের ভাগ্যই সিল করে দেয় ব্রাজিল।
শেষ দিকে কোরিয়া কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও, ৭৭ মিনিটে মাঠজুড়ে দৌড়ে এসে ভিনিসিউস যেভাবে পাস কাটিয়ে বল জালে জড়ালেন, তাতে পুরো স্টেডিয়াম মুহূর্তেই নীরব হয়ে যায়। ব্রাজিল তখন ৫-০ তে এগিয়ে।
ম্যাচ শেষে সন্তুষ্টির হাসি নিয়ে ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি বলেন, “আজ আমাদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হলো, আর সেটা দারুণভাবেই। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, আমি সত্যিই উপভোগ করেছি। পুরো দল একসঙ্গে লড়েছে এটাই আমাদের শক্তি।”
আনচেলোত্তি আরও যোগ করেন, “আজ আমরা দেখিয়েছি, কীভাবে দল একসঙ্গে খেললে সাফল্য আসে। তীব্রতা, গুণমান আর দায়বদ্ধতা; এই তিন জিনিসই আমাদের ভিত্তি। আর এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা অনেক দূর যেতে পারব।”
আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাপানের বিপক্ষে আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।
ঢাকা/আমিনুল