ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

বিজিবি সদস্য সুমনের লাশ হস্তান্তর বিএসএফের

মোয়াজ্জেম হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ২৮ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিজিবি সদস্য সুমনের লাশ হস্তান্তর বিএসএফের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে চোরাকারবারিকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মরদেহ ভারতীয় বিএসএফ উদ্ধার করে হস্তান্তর করেছে।

বুধবার সকালে ভারতের অভ্যন্তরে তিস্তা নদীর কোচবিহার-১৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের তরুণা ক্যাম্পের সদস্যরা নিখোঁজ সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেন। দুপুর ৩টার দিকে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের তিনবিঘা কোম্পানি কমান্ডার এসি বিনোদ রাজা লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শেখ সুজাউল ইসলামের কাছে সুমন মিয়ার মরদেহ তিস্তা নদীতে অবস্থিত ভারতীয় দরুণা ক্যাম্পে হস্তান্তর করেন।

পরে স্পিড বোডে করে সুমন মিয়ার মরদেহ তিস্তা ব্যারাজে নিয়ে আসা হয়। পরে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই রাতে হিমঘরে রাখা হয়েছে সুমন মিয়ার মরদেহ।

বিজিবি সূত্র জানায়, নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জের সদর উপজেলার আটঘড়িয়ার আউশপাড়া এলাকায়।

গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল দহগ্রাম সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে আবুলের চর যান। ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া ও সিপাহী উচ্চ প্রু মারমা ওই টহল টিমে ছিলেন। আবুলের চর এলাকায় তিস্তা নদীর কিনারে গরু চোরাকারবারিদের সঙ্গে গরু টানাটানির এক পর্যায়ে টুটুল মিয়াকে নদীতে নামানো হয়। এক পর্যায়ে চোরাকারবারিরা গরুর রশি ছেড়ে দিলে দুটি গরুসহ কোনো রকমে চরে ফিরে আসেন টুটুল মিয়া। টুটুল মিয়া তলিয়ে যাচ্ছে ভেবে তাকে উদ্ধারের জন্য রাইফেল ও গোলাবারুদ উচ্চ প্রু মারমার হাতে জমা দিয়ে সুমন তিস্তা নদীতে নামেন। পরে তিনি সেখানেই নিখোঁজ হন।



রাইজিংবিডি/লালমনিরহাট/২৮ জুন ২০১৭/মোয়াজ্জেম হোসেন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়