তুলে নিয়ে সুতা কারখানায় স্কুলছাত্রকে ঝুলিয়ে নির্যাতন
শেখ মোহাম্মদ রতন || রাইজিংবিডি.কম
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ গোসাইবাগ এলাকার একটি সুতা তৈরির কারখানায় একজন স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় পঞ্চসার উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত হতভাগ্য স্কুলছাত্রটির নাম ‘অন্তর’। সে শহরের দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার মো. জুম্মন মিয়ার ছেলে। গোসাইবাগ এলাকায় তার নানাবাড়ি ।
গত ১৮ জুলাই কারখানার ভিতরে অন্তরকে হাত বেঁধে ঝুলিয়ে বেদম পেটানোর পর গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। শনিবার তার গলা ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করলে তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্তরের মা ফাতেমা বেগম জানান, গত ১৭ জুলাই তার বাবার বাড়ি গোসাইবাগ এলাকার ব্যবসায়ী জয়নাল মিয়ার সুতার কারখানায় তৈরি ৬শ' পাউন্ড অবৈধ কারেন্ট জাল চুরি হয়। এ ঘটনায় পরদিন ১৮ জুলাই তার ছেলে অন্তরকে অটোবাইকে করে তুলে কারখানায় নিয়ে হাত বেঁধে ঝুলিয়ে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে ব্যবসায়ী জয়নালের ভাই আলমগীরসহ তার সহযোগীরা। মারধরের ঘটনায় ওই দিনই সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অন্তরের মা ফাতেমা বেগম অভিযোগে জানান, থানায় অভিযোগ দাখিলের পরও শনিবার পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
শহরের মডার্ন ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. তন্ময় বলেন, ‘ইন্টারনালি ইনজুরি হওয়া রোগী অন্তর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে গলা ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘দাখিল করা অভিযোগের বিষয়ে সংশ্নিষ্টরা কেন ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করেছে, তার খোঁজ নিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রাইজিংবিডি/মুন্সীগঞ্জ/২৩ জুলাই ২০১৮/শেখ মোহাম্মদ রতন/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন