ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কৃষকরাও কিংবদন্তি : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

নাসির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ২২ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কৃষকরাও কিংবদন্তি : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘কৃষিবিদরা যেমন কিংবদন্তি, কৃষকরাও তেমন কিংবদন্তি। আমাদের বেশির ভাগ গ্রামের মানুষই কৃষক। সেই জন্য তাদের কাছে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। কারণ, কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই আমরা শক্তিমান হব।’

 

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

সৈয়দ আশরাফুল বলেন, ‘সারা বাংলায় কৃষক লীগের সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি অন্য সংগঠনগুলোকেও শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই আমরা শক্তিমান হব।’

 

তিনি বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১ আগস্ট থেকে আমরা ৪০ দিনের কর্মসূচি পালন করছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, এবার বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী। আমরা এ জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি পালন করব। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংগঠন এবার অত্যন্ত ভাবগম্ভীরভাবে কর্মসূচি পালন করছে।’

 

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘাতকরা এক ও অভিন্ন। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। এই অশুভ শক্তির বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

 

হানিফ বলেন, ‘আজকে যখন তদন্তের মাধ্যমে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িতদের কথা উঠে এসেছে বিএনপির লোকের নাম, তখন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলছেন সঠিক তদন্ত চাই। আওয়ামী লীগ ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। এ কারণেই এই মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এ মামলা থেকে রেহাই পাবার কোনো সুযোগ নেই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই মামলার সুষ্ঠু বিচার হবেই।’

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন- এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।’

 

তিনি বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা ৭৫-এর খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন না। শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আবদুল আলীমকে রেলমন্ত্রী বানিয়েছেন। কোন চেতনায় তিনি এ কাজটি করলেন। এরপরও কি প্রমাণ হয় না, জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন?’

 

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াও পাকিস্তানের এজেন্ট। কারণ, তাকে দল চালানোর জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা টাকা দেয়। তিনি নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে হানিফ বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হলো। তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কারা ছিল? তখন আপনারা তদন্ত করেননি কেন? এখন তদন্তের কথা বলছেন কেন? হাওয়া ভবনে বসে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এত বড় ভয়াবহ হামলার আলামত নষ্ট করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছেন। হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিলেন। নাটক করারও একটা সীমা থাকে।’

 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ডাব্লিউ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৫/নাসির/শাহনেওয়াজ/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়