ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সাধারণ মানুষ হয়েও যাদের বিয়ে হয়েছে রাজবংশে

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১২ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাধারণ মানুষ হয়েও যাদের বিয়ে হয়েছে রাজবংশে

জেটসান পেমা ও জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুক

এস এম গল্প ইকবাল : রূপকথার চরিত্র সিন্ডারেলা তার প্রিন্সকে দেখে নাচের অনুষ্ঠানে। সে তো প্রিন্সকে বারেও দেখতে পারত, তাই না?

সিন্ডারেলা না দেখলেও মেরি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন ঠিকই তার প্রিন্সকে বারে দেখতে পায়। তিনি এখন ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস।

এবার আসা যাক কেট মিডলটনের কথায়। ২০১১ সালে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে তার বিবাহ বন্ধন লাখ লাখ মানুষকে বিমোহিত করে। তিনি হয়ে যান ডিউকের পত্নী।

সাধারণ জীবন থেকে রাজপরিবারে বিয়ের মাধ্যমে রাজকীয় জীবনযাপনের অধিকারী হওয়া ১৮ সাধারণ ব্যক্তি নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে ৯ জনের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল। পড়ুন: । বাকি ৯ জনের তথ্য জেনে নিন আজ।
 


লেটিজিয়া ওরটিজ (কুইন অব স্পেন)

প্রিন্স ফেলিপে সিক্স-কে বিয়ে করার পূর্বে লেটিজিয়া ওরটিজ ছিলেন সাংবাদিক ও সংবাদ উপস্থাপক। প্রিন্স এবং লেটিজিয়া ২০০৪ সালে বিয়ে করেন। এটি ছিল লেটিজিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান আছে। ২০১৪ সালে প্রিন্স ফেলিপে রাজসিংহাসনে বসেন।
 


ম্যাসেনেট মোহাতো সীসো (কুইন অব লেসোথো)

ম্যাসেনেট ১৯৯৭ সালে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব লেসোথোতে অধ্যয়ন করছিলেন। ১৯৯৯ সালে রাজা লেতসি থার্ড এর সঙ্গে তার বাগদান হয়। রাজা লেতসির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোতে তার পড়ালেখা বাধাগ্রস্ত হয়। তারা ২০০০ সালে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে তিন সন্তান আছে।
 


মেরি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন (ক্রাউন প্রিন্সেস অব ডেনমার্ক, কাউন্টেস অব মনপেজাট)

২০০০ সালে সামার অলিম্পিকের সময় সিডনির একটি বারে (স্লিপ ইন) মেরি এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফ্রেডেরিকের সাক্ষাৎ হয়। ২০০২ সালে মেরি এলিজাবেথ ডেনমার্কে আসেন। এখানে মাইক্রোসফট বিজনেস সল্যুশনস প্রজেক্ট কনসালটেন্ট হিসেবে একবছর কাজ করেন। ২০০৪ সালে মেরি এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফ্রেডেরিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। তাদের সংসারে চার সন্তান রয়েছে।
 


মেরি এগাথে ওডিলে ক্যাভালিয়ার (প্রিন্সেস অব ডেনমার্ক)

মেরি মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়েছিলেন। প্রিন্স জোয়াকিমের (প্রিন্স ফ্রেডেরিকের ভাই) সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয় এক বন্ধুর পার্টিতে। রাজপরিবারে তার বিয়ে হবে কিনা এ নিয়ে তার সন্দেহ ছিল। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন ২০০৮ সালে। তাদের দুই সন্তান আছে। মেরি প্রিন্সের আগের সংসারের দুই সন্তানের সৎমাও।
 


টাটিয়ানা ব্লাটনিক (প্রিন্সেস অব গ্রিস অ্যান্ড ডেনমার্ক)

টাটিয়ানা ২০০৩ সালে জর্জটাউন থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। একই বছর প্রিন্স নিকোলাসের সঙ্গে তার দেখা হয়। তিনি ইভেন্ট প্ল্যানার হিসেবে একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে ২০১০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ২০১০ এর আগস্টে টাটিয়ানা ও প্রিন্স নিকোলাস বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
 


সনজা হ্যারাল্ডসেন (কুইন অব নরওয়ে)

১৯৫৯ সালে তখনকার ক্রাউন প্রিন্স হ্যারাল্ডের সঙ্গে সনজার প্রথম দেখা হয়। ১৯৬৮ সালে রাজা তাদেরকে বিয়ে করার অনুমতি দেন। তারা ১৯৬৮ এর আগস্টে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ১৯৯১ সালে প্রিন্স হ্যারাল্ড সিংহাসনে বসে রাজা বনে যান ও সনজা হন সম্রাজ্ঞী।
 


মেট-ম্যারিট জেসেম হোইবি (ক্রাউন প্রিন্সেস অব নরওয়ে)

নরওয়ের সবচেয়ে বড় রক ফেস্টিভ্যাল কোয়ার্ট ফেস্টিভ্যালের সময় এক পার্টিতে মেট-ম্যারিট ও ক্রাউন প্রিন্স হ্যাকনের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। এক বছর পর তাদের যখন দেখা হয় তখন মেট-ম্যারি ছিলেন এক সন্তানের মা। ২০০১ সালে তারা বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ান।
 


রানিয়া আল-আব্দুল্লাহ (কুইন অব জর্ডান)

আব্দুল্লাহ বিন আল-হুসেইনকে বিয়ে করার পূর্বে রানিয়া সিটি ব্যাংকে মার্কেটিংয়ে কাজ করতেন। পরে আম্মানে অ্যাপল কম্পিউটারে চাকরি নেন। ১৯৯২ সালে এক ডিনার পার্টিতে ভবিষ্যৎ রাজা আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। জুন ১৯৯৩-তে তারা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। ১৯৯৯ সালে পিতার মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। রানিয়া হন রানি। তাদের চার সন্তান আছে।
 


জেটসান পেমা (কুইন অব ভুটান)

গুজব আছে, সাধারণ ঘরের মেয়ে জেটসান পেমা ও রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুকের প্রথম দেখা হয় এক বনভোজনে। তখন তার ও জিগমের বয়স ছিল যথাক্রমে ৭ ও ১৭। জেটসান বড় হলে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় জিগমে।

২০০৮ সালে পিতার পদত্যাগের পর জিগমে রাজা হন। জিগমে ছোট্ট জেটসানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেন। তাদের বিয়ে হয় ২০১১ সালে। তাদের ঘরে প্রথম সন্তান আসে ২০১৬ সালে।

তথ্যসূত্র : ইনসাইডার




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুলাই ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়