ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

২৮ বছর স্থগিত থাকার পর …

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৬ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৮ বছর স্থগিত থাকার পর …

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিদ্ধেশরীতে গুলিতে নিহত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর ফলে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে স্থগিত থাকা এ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

হাইকোর্ট মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে এ তদন্ত শেষ করতে হবে। তদন্ত শেষে ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও ব্যারিস্টার মোতাহার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।

এর আগে গত ২৩ জুন দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এজন্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি বিচার বিভাগও দায় এড়াতে পারে না। বিলম্বিত বিচার মানে বিচারকে অস্বীকার করার নামান্তর বলেও মন্তব্য করেন আদালত।

যার আবেদনে এই মামলার বিচার স্থগিত সেই মারুফ রেজার আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, ওনার (মারুফ) এই মামলায় আসামি বা সাক্ষী কোনো তালিকায় তারনাম নেই। তাহলে কিভাবে নিম্নআদালতের অধিকতর তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলেন। আপিল বিভাগের রায়ও আছে অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করা যাবে না। মামলার যে কোন অবস্থায় বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দিতে পারেন।

মারুফ রেজার আইনজীবী ওবায়দুর রহমান বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে এই মামলা নিয়ে প্রতিবেদন দেখেছি। অনেক পুরাতন মামলা। যে নথিপত্র আমাদের কাছে রয়েছে তা থেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। এরপর ২৮ বছর আগে অধিকতর তদন্তের জন্য ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ আদালতে পড়ে শোনান তিনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্বেশ্বরীতে ছিনতাইকারীর গুলিতে মারা যান। এ ঘটনায় ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রিকশাচালক দুজনকে শনাক্ত করলেও অজ্ঞাত কারণে মন্টু নামে এক আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ।

সাক্ষ্য চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১৯৯১ সালের ২৩ মে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় ঢাকার একটি আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মারুফ রেজা। ওই বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর মামলার ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুন ২০১৯/মেহেদী/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়