ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যানবাহন কম, ভোগান্তি, জমেনি ঢাকা ফেরার স্রোত

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৮ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যানবাহন কম, ভোগান্তি, জমেনি ঢাকা ফেরার স্রোত

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হলেও নগরীজুড়ে এখনো চলছে ঈদের আমেজ।

সোমবার প্রথম কর্মদিবসেও রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে ঈদের রেশ যেন কাটছেই না। যেসব সড়ক দিনরাত যানবাহন চলাচলে সরগরম থাকে, জ্যামের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়, সেসব সড়ক এখন ফাঁকা। নেই যানজট। এই ফাঁকা রাস্তায় ঘুরে বেরিয়ে আনন্দের উপলক্ষ খুঁজে নিচ্ছেন সবাই। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানী শান্ত। সড়কগুলোতে যানবাহনের চলাচল যেমন কম ছিল-সচিবালয়ে, অফিস-আদালতেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম।

এদিকে রোববার থেকেই রাজধানীতে আসতে শুরু করে মানুষ। তবে এখনো জমেনি ঢাকায় ফেরার স্রোত। লঞ্চ, বাস কিংবা ট্রেন সব বাহনেই স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক ভিড় দেখা গেলেও নেই উপচেপড়া ভিড়। যদিও স্রোত ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 


রোববার রাজধানীতে ফেরা মানুষের সংখ্যার তুলনায় সোমবার লঞ্চঘাট কিংবা বাস টার্মিনালে বেশি মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এখনো ফিরে পায়নি রাজধানীর চিরচেনা রূপ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি বেশি থাকলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি কম থাকায় অনেকেই ঈদের পরদিনই রাজধানীতে এসে পৌঁছেছেন।

বিআইডব্লিটিএ এর যুগ্ম পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ থাকলেও রাজধানীতে ফেরা মানুষের অতিরিক্ত ভিড় এখনো চোখে পড়েনি। তবে ঈদ শেষে আজ প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় রোববারের তুলনায় ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যা একটু বেশি ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ঘাট থেকে ৬২টি নৌযান ঢাকায় এসেছে।
 


তিনি আরো বলেন, আজ দক্ষিণাঞ্চল থেকে শতাধিক লঞ্চ রাজধানীতে আসবে। বিশেষ সার্ভিস শুরু হয়নি এখনো। অন্যদিকে ঈদের সময় যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে রাজধানীতে ছিলেন, তারা এখন নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন। আজ ঢাকার সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে মোট ৮০ থেকে ৯০টি লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করবে।

ঈদের আমেজ কেটে গেলেও যাত্রী হয়রানি, লঞ্চের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও ছিল যাত্রীদের।
 


বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন লঞ্চের যাত্রী আমিরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, খুব ভোরে পরিবার নিয়ে লঞ্চ থেকে সদরঘাটে নেমে বাসায় যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়েছি। রাজধানী ফাঁকা হলেও সিএনজি কিংবা রিকশার সংখ্যাও অনেক কম। ফলে বেশি ভাড়ায় বাসায় ফিরতে হয়েছে। 

একই চিত্র দেখা গেছে, রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালে। প্রতিটি বাস যাত্রী বোঝাই করে টার্মিনালে আসছে। রাজধানীতে যানজট না থাকলেও বাস টার্মিনালে ঘরে ফেরা যাত্রীরা কোনো যানবাহন না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজিতে করে বাসায় পৌঁছেছেন। তবে যানজটমুক্ত রাজধানীতে চলাফেরায় বেশ স্বস্তিতে আছেন ঢাকায় থাকা মানুষগুলো।

পড়ুন :

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়