ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যুদ্ধবিমানের চেয়েও দ্রুত গতির ইলেকট্রিক গাড়ি!

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ২২ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যুদ্ধবিমানের চেয়েও দ্রুত গতির ইলেকট্রিক গাড়ি!

আহমেদ শরীফ : ইতালির একটি কোম্পানি তৈরি করেছে এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমানের চেয়েও দ্রুত গতিসম্পন্ন এক ইলেকট্রিক গাড়ি। ‘পিনইনফারিনা বাতিস্তা’ নামের এই হাইপার কার ঘণ্টায় ২১৭ মাইল বেগে ছুটতে পারবে। ফর্মুলা ওয়ান গাড়িগুলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে পারবে ইলেকট্রিক এই গাড়ি, তেমনটাই জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

নিউইয়র্কে প্রদর্শন করা হলো ইতালির তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন এই ইলেকট্রিক গাড়ি ‘পিনইনফারিনা বাতিস্তা’। এই সুপার স্পিড গাড়িটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ২ মিলিয়ন পাউন্ড। ফর্মুলা-ওয়ান গাড়ির চেয়েও দ্রুত, এমনকি এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমানের চেয়েও দ্রুত গতিতে ঘন্টায় ১৮০ মাইল বেগে ছুটতে পারে এই গাড়ি। যতোক্ষণ রাস্তায় ছুটবে, ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২১৭ মাইল বেগে ছুটতে পারবে দ্রুতগতিসম্পন্ন এই ইলেকট্রিক গাড়ি। একবার ব্যাটারি চার্জ করার পর একনাগারে ২৮০ মাইল পর্যন্ত যেতে পারবে এই গাড়ি। গাড়িটি নিউইয়র্কের ইন্টারন্যাশনাল অটো শো তে প্রদর্শন করা হয়েছে কয়েকদিন আগে। ৪০ মিনিটের মধ্যে গাড়ির ব্যাটারির ৮০ শতাংশ চার্জ দেয়া যাবে, এমনটা বলছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

কোম্পানিটির মূল অফিস জার্মানির মিউনিখে হলেও বাতিস্তা তৈরি হবে ইতালির তুরিনে গড়ে তোলা কারখানায়। আগামী বছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই গাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হলে ‘বাতিস্তা’ বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল ইলেকট্রিক হাইপার গাড়ি হবে, তেমনটা জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

যেখানে অন্যসব গাড়ি পেট্রোল ও ডিজেল জ্বালানিতে চলে পরিবেশ দূষণ করে, সেখানে এই গাড়ি একাধারে সুপার ফাস্ট ও পরিবেশবান্ধব। তবে এই গাড়ি কিনতে পারবেন শুধুমাত্র ধনীরাই। কারণ গাড়িটির নির্মাণ ব্যয় ২ মিলিয়ন পাউন্ড। নির্মাতা কোম্পানি জানিয়েছে মোট ১৫০টি সুপার ফাস্ট এই ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করা হবে। তার মধ্যে আমেরিকায় বিক্রি করা হবে ৫০টি, বাকিগুলো ইউরোপ ও এশিয়ায় বিক্রি করা হবে। আগামী বছর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে ২০২০ সালে ডেলিভারি দেয়া হবে গাড়িগুলো।

প্রজাপতির ডানার মতো দরজা সহ তিনটি ভিন্ন ধরনের এই গাড়ি প্রথমে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ও পরে নিউইয়র্কের অটো শো তে প্রদর্শন করা হয়। ১৯৩০ সালে ইতালিয়ান গাড়ি ডিজাইন করা কোম্পানি পিনইন ফারিনা প্রতিষ্ঠা করেন বাতিস্তা পিন ইন ফারিনা। তার নাম অনুসারেই এই গাড়ির নাম দেয়া হয়। বাতিস্তার ছেলে সার্জিও ‘ফেরারি’সহ অনেক জনপ্রিয় গাড়ির ডিজাইন করেছিলেন। এবার বাতিস্তার নাতি পাওলো কোম্পানির চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার দাদা অন্য কোম্পানির গাড়ি ডিজাইন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে নিজেদের পিনইন ফারিনা কোম্পানির নিজস্ব গাড়ি বাজারে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতেই নিজেদের ডিজাইন করা গাড়ি বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে কোম্পানিটি।

গাড়িটির ‘টি’ সদৃশ বিশেষ ব্যাটারিটি তৈরি করা হয়েছে লিথিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও নিকেলের মিশ্রণে, এতে করে গাড়িটি হয়ে উঠেছে অনেক গতিসম্পন্ন। এক্সট্রিম ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণবিহীন এই দ্রুতগতির ইলেকট্রিক গাড়িটি বর্তমান সময়ের অতুলনীয় এক গাড়ি হতে চলেছে, এমনটাই দাবি করছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। গাড়িটি তৈরিতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে ভারতীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাহিন্দ্রা।



তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ এপ্রিল ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়