ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মানুষের মস্তিষ্কে ইন্টারনেট সংযুক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মানুষের মস্তিষ্কে ইন্টারনেট সংযুক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উইটস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি দল বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছেন।

মেডিক্যাল এক্সপ্রেসে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, প্রথমবারের মতো গবেষকরা মানুষের মস্তিষ্ককে সত্যিকার ভাবেই ইন্টারনেট সংযোগ করার একটি উপায় উদ্ভাবন করেছেন।

এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রেইনটারনেট’ এবং এটি মূলত মস্তিষ্কে ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওওটি) মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সংযোগ ঘটাবে।

এই প্রকল্পটির কাজ হচ্ছে, ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কে সংযুক্ত একটি ইমোটিভ ইইজি ডিভাইস থেকে ইইজি সংকেত সংগ্রহ করবে। এই সংকেত রাসবেরি পাই কম্পিউটারে প্রেরণ করবে। যা প্রোগ্রামিং অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারফেসের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং হবে এবং মস্তিষ্কের সংকেতগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রদর্শিত হওয়ায়, কার্যকাপগুলো যেকেউ দেখতে পাবে।

উইটস স্কুল অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রভাষক এবং প্রকল্পের সুপারভাইজার অ্যাডাম পেনটেনোউইজ বলেন, ‘ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস সিস্টেমগুলোর মধ্যে ব্রেইনটারনেট চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত। মানুষের মস্তিষ্কে কিভাবে কাজ করে এবং তথ্য কিভাবে প্রসেস করে তা বোঝার সহজ উপায়ের অভাব রয়েছে। ব্রেইনটারনেট একজন ব্যক্তির নিজের মস্তিষ্কের বোধগম্যতা এবং অন্যদের মস্তিষ্ককে বোঝা সহজ করবে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ক্রমাগত পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কিছু ইন্টারঅ্যাকটিভিটিতে নজর রাখতে সক্ষম।’

পেনটেনোউইজ বলেন, এটি এই প্রকল্পের কেবল সম্ভাব্য শুরু। ব্যবহারকারী এবং তার মস্তিষ্কের মধ্যের আরো ইন্টারঅ্যাকটিভ বিষয়গুলো জানার লক্ষ্যে তারা গবেষণা করে চলেছেন।

এই ফাংশনের কিছু তথ্যে ইতিমধ্যে গবেষকরা ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু তা খুবই সামান্য। পেনটেনোউইজ বলেন, ‘ব্রেইনটারনেটকে আরো উন্নত করা যেতে পারে যেন স্মার্টফোনের অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য রেকর্ড করতে পারে, যা মেশিন-লার্নিং অ্যালগরিদমের ডেটা প্রদান করবে। ভবিষ্যতে হয়তো মস্তিষ্কের কার্যকলাপগুলো যেমন পাওয়া যেতে পারে তেমনি মস্তিষ্কে পাঠানোও যেতে পারে।’

এই প্রকল্পের ভবিষ্যত গবেষণা মেশিন-লানিং এবং ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য এতে দিতে পারে। উদাহারণস্বরূপ এলন মাস্কের ‘নিউরাল লেস’ কিংবা ব্রায়ান জনসনের ‘কারনেল’ প্রকল্প।

ব্রেইনটারনেট প্রকল্পের মাধ্যমে ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে ভবিষ্যতে হয়তো সহজেই বোঝা যাবে যে, আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে এবং সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ানো সম্ভব হবে।

তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়