ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কোরবানি, লাভবান কুষ্টিয়ার খামারিরা

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৫ আগস্ট ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোরবানি, লাভবান কুষ্টিয়ার খামারিরা

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার একজন খামারি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কোরবানি আসন্ন। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে পশু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা। তারা জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাটে ও বাড়িতে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল সংগ্রহ করছেন এবং বিভিন্ন হাট-বাজাওে আসা যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে লাভবান হচ্ছেন কুষ্টিয়ার খামারিরা।

এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়ার গো-খামারি এবং কৃষকেরা ভাল দামে গরু বিক্রি করতে পারায় বেজায় খুশি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এবার এলাকায় দুই লাখেরও বেশি কোরবানির পশু রয়েছে যা স্থানীয় মানুষের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দেশের অন্য এলাকায়ও যাবে।

এলাকার গো-খামারি ও কৃষকদের এই হাসি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি-না এ নিয়ে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার গরু প্রবেশের আশঙ্খা থাকায় খামারিদের মাঝে এক অজানা আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

গতবছর কুষ্টিয়ার গো-খামারি ও কৃষকেরা গরুর ভাল দাম পাওয়ায় এবারো পশুপালনে জোর দিয়েছে। বেড়েছে পশুর যত্নআত্তি। আশায় বুক বেঁধে আছে তারা। এখানকার গ্রামে-গঞ্জে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে ২-৪টি কোরবানির গরু পাওয়া যাবে না। শুধু কি তাই, কোরবানিকে কেন্দ্র করেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গো-খামার গড়ে উঠেছে।

কুষ্টিয়া জেলা পশু সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ৬টি উপজেলায় ১৭ হাজার ৮১০টি খামার রয়েছে। এরমধ্য গরু প্রায় নব্বই হাজার, ছাগল ৫০ হাজার এবং ভেড়া ৩ হাজারের মত। সবেচেয়ে বেশি খামার কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সদর উপজেলায় খামারের সংখ্যা ৪৪০০। গরুর পরিমাণ ২২ হাজার ছাড়িয়ে।

সদর উপজেলার হররা গ্রামের মোজাম্মেল গো-খামারের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম জানান, তার খামারের ২৮টি গরু ইতিমধ্যেই ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে আশানুরূপ দামে বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে আরো কয়েকটি গরু, মহিষ এবং ভেড়া বিক্রির জন্য রেখেছেন। আশা করছেন, ভাল দামে বিক্রি করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘এবার আগে ভাগে গরু বিক্রি করে ভাল দাম পেয়ে টেনশনমুক্ত হয়েছি।’

তিনি জানান, এবার জেলার কৃষক এবং খামারিরা ভাল দামে গরু বিক্রি শুরু করেছে। প্রতিদিনই গরুর হাটে প্রচুর গরু বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাপারিরা বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে বড় এবং বিভিন্ন আকারের পছন্দসই গরু কিনছে। এখন পর্যন্ত চাষিরা টেনশনমুক্ত রয়েছে। তা ছাড়া সামনের দিনগুলোতে স্থানীয় ক্রেতারা কোরবানির পশু কেনা শুরু করবে। তাতেও তারা ভাল দাম পাওয়ার আশা করছে।

কুষ্টিয়া জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আশাদুল হক বলেন, ‘এবারো জেলায় প্রচুর কোরবানির পশু রয়েছে। কৃষক এবং খামারিরা যত্ন নিয়ে পশু পালন করেছে। আমরা শুনেছি কৃষক এবং খামারিরা এবার কোরবানির পশু বিক্রি করে ভাল দাম পাওয়ায় খুব খুশি।’

 

 


রাইজিংবিডি/ কুষ্টিয়া/২৫ আগস্ট ২০১৬/কাঞ্চন কুমার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়