ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘জিকা আক্রান্ত হলে চিকিৎসার ভার সরকার নেবে’

শফিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘জিকা আক্রান্ত হলে চিকিৎসার ভার সরকার নেবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, দেশে কেউ মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সরকার তার চিকিৎসার ভার নেবে।

 

মঙ্গলবার ‘জিকা ভাইরাস: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মলনে মন্ত্রী এই কথা জানান।

 

তিনি বলেন, ‘জিকা ভাইরাস রোগী চিহ্নিত হলে সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় আমরাই দেব। ডাক্তারের কাছে আমরা নিয়ে যাব। তারপর ফলোআপ করব।’

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’

 

জাতীয় সংসদে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সর্বশক্তি নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতি আহ্বান, আপনারা আশ্বস্ত থাকুন। এই ভাইরাস দেশে কোনোভাবেই সংক্রমিত হতে পারবে না। সরকার জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে।’

 

নাসিম বলেন, ‘এরই মধ্যে জিকা ভাইরাস সংক্রমণসংক্রান্ত জাতীয় কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য ‘প্রিপেয়ার্ডনেস প্লান’ করা হয়েছে।’

 

এ সময় তিনি জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা ঘোষণার দুইদিনের মধ্যে সব সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে ইমেইলের মাধ্যমে জিকা সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘সব আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বারে মেডিক্যাল টিমের কার্যক্রম নিশ্চিত করা হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে জিকা ভাইরাস স্ক্রিনিং মনিটর করতে ওয়েব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং সম্ভাব্য জিকা ভাইরাসের সংক্রমনণরোধে এডিস মশা নিধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রান্ত সংবাদ প্রচার করুন।’

 

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মো. নূরুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বের ২৩ দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এর মধ্যে মহামারি আকার নিয়েছে ব্রাজিলে। ২০১৫ সালে দেশটিতে ৩ হাজার ৫৩০টি শিশু মাইক্রোসেফ্যালি নিয়ে জন্মেছে। মাইক্রোসেফ্যালি বলতে বোঝায় নবজাতকের মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, ব্রাজিলে মাইক্রোসেফ্যালির জন্য জিকা ভাইরাস দায়ী। এডিস মশার কামাড়ে জিকা ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শফিক/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়