ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিশ্ব মান দিবস আজ

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০১, ১৩ অক্টোবর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্ব মান দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৪ অক্টোবর বিশ্ব মান দিবস। পণ্য-সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কর্মরত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর জন্যই এই দিবসের অবতারণা।

 

দিনটি মূলত পণ্য-সেবা প্রভৃতির মান উন্নয়ন ও বজায় রাখার প্রতি কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা এবং ভোক্তাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।

 

১৯৪৬ সালের ১৪ অক্টোবর লন্ডনে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধি বিশ্বব্যাপী পণ্য-সেবার মান বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নির্ধারক সংস্থার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। এর পরের বছর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতেই দিবসটি বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়। ১৯৭০ সাল থেকে আইএসও এই দিনটি পালন করে আসছে। প্রতিবছরই দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় চলমান বিষয়াদিকে ঘিরে।

 

আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন ভাষা-মান’।

 

এবারের বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘ভোক্তাস্বার্থ রক্ষার্থে বিএসটিআইকে মেধা, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি তৃণমূল পর্যায়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, দ্রুত বিকাশমান তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমানে সারা বিশ্বকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের প্রত্যাশাও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে পণ্য ও সেবার উৎপাদন প্রক্রিয়া হতে বিপণন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, ভেজাল প্রতিরোধ এবং নকল ও নিম্নমানের পণ্য বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে বিএসটিআইকে বাজার পরিদর্শন ও মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

 

বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএসটিআইকে সকল ক্ষেত্রে জাতীয় মান প্রণয়ন ও এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এতে বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন, বিশ্বের যেকোনো উদ্ভাবনের সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বাংলাদেশ যেন বঞ্চিত না হয় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে। এ লক্ষ্য অর্জনে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে তৎকালীন মান সংস্থা বিডিএসআই আইএসও এর সদস্যপদ লাভ করে।’

 

তিনি বলেন, মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্থাসমূহের আওতায় উন্নত এবং উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিবিদ এবং সুশীল সমাজের নাগরিকগণ তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সেবাকর্ম, খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য এবং অন্যান্য কার্যক্রমের ওপর আন্তর্জাতিক মান ও নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করেছেন। এ সকল মানের যথাযথ বাস্তবায়নই প্রত্যাশা অনুযায়ী মানুষের প্রতিটি চাহিদা পূরণ করতে পারে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ অক্টোবর ২০১৫/শাহ মতিন টিপু/নওশের/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়