ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২৭ জুলাই দুদক হটলাইনের যাত্রা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ২৩ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৭ জুলাই দুদক হটলাইনের যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক : যখনই দুর্নীতির ঘটনা, তখনই অভিযোগ- এমন সুবিধা নিয়ে আগামি ২৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)  যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দুদক কলসেন্টার বা হটলাইন।

যে কোনো অভিযোগকারী ‘১০৬' নম্বরে যে কোনো অপারেটর থেকে সার্ভিস চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অপরাধের সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং আইনি পরামর্শ নিতে পারবেন।

এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে হটলাইন চালু করা হয়েছে। তবে আগামি ২৭ জুলাই সকাল ১১টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হটলাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হটলাইন বিষয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে সকল স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আপাতত ১৩ সদস্যের জনবল নিয়ে কলসেন্টার যাত্রা শুরু করবে। সার্বক্ষণিক কল রিসিভ করতে সহকারী পরিচালক ও উপ-সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার চার থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে স্থায়ীভাবে কোনো কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন না। বিভিন্ন কর্মকর্তা রোস্টার সিস্টেমে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্য্ন্ত কলসেন্টারে দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে কল সেন্টার ম্যানেজার হিসেবে সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কল সেন্টারের দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করছেন দুদকের সিস্টেম এনালিস্ট রাজিব হাসান। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কলসেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দুর্নীতির শিকার যে কেউ চাইলেই মোবাইল টেলিফোনে বা যে কোন টেলিফোনে দুদক হটলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন এমনকি এ সংশ্লিষ্ট যে কোনো সেবা নিতে পারবেন । কলসেন্টার চালু হলে জনগণ দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে আরো এগিয়ে আসবেন বলে আশা করা যায়।’

দুদকের কলসেন্টারে যা যা থাকছে : প্রাথমিকভাবে ন্যূনতম চার থেকে পাঁচজন প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা দ্বারা কলসেন্টার পরিচালনা করা হবে। কলসেন্টারে নিযুক্ত কর্মীবৃন্দ দেশের যে কোন প্রান্ত হতে দুর্নীতি সংক্রান্ত যে কোন কল গ্রহণ করার পর তাৎক্ষণিকভাবে সফটওয়্যার ডেটাবেইজে তথ্য লিপিবদ্ধ করবেন। কলসেন্টার কর্মীর জন্য ১০টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক প্রিন্টার, ভয়েস রেকর্ডার, নয়েজ রিডাকশন হেডসেট, সার্ভারের সাথে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক কানেকশন থাকবে। থাকবে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। অভিযোগকারীর যে সব অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে না সেক্ষেত্রে কলসেন্টার কর্মী সরাসরি ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার (এক বা একাধিক) সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আর ওই ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হবেন উপপরিচালক কিংবা পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা। কলসেন্টারের সফটওয়্যারের প্রথম অংশে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় বেশ কিছু তথ্য যে কোন অভিযোগকারীর কল করার সাথে সাথেই চলে আসবে। যেমন অভিযোগকারীর ফোন নম্বর ও যে নামে তার রেজিস্ট্রেশন করা আছে, যে স্থান থেকে তিনি কলটি করছেন তার অবস্থান।

**



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুলাই ২০১৭/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়