‘জনপ্রিয়তা বাড়লে নির্বাচনে ভয় কেন?’

নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সরকারের যদি জনপ্রিয়তা বেড়েই থাকে, তাহলে একটি নতুন নির্বাচন দিতে তাদের ভয় কিসের?’

 

জরিপের ফলাফলে উজ্জীবিত হয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নতুন নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৮ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

 

বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রবিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে বলেছে, নির্বাচনের বিষয়ে দেশে রাজনৈতিক বিভাজন অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থন বেড়েছে। দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে লোকজনের মনোভাব ইতিবাচক, অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও তারা আশাবাদী। তবে তাদের কাছে দুর্নীতি এখনও সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়।

 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের যে প্রেক্ষাপটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এখন দেশে সেই প্রেক্ষাপট বিরাজ করছে। তখনও দেশে গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের মানবিক মৌলিক অধিকার ছিল না। আজও দেশে এগুলো অনুপস্থিত।’

 

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে জানিয়ে তিনি প্রত্যাশা করেন, শিগগিরিই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।

 

তৎকালীন সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের সময়ে তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছে অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিনি বেঁচে গেছেন। কিন্তু নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিদেশে দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

 

তিনি অভিযোগ করেন, দেশের চিকিৎসক সমাজের শতকরা ৮০ ভাগই শহীদ জিয়ার আদর্শের অনুসারী। তারা সরকারের রোষানলে পরে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

 

বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কারবন্দি আছেন বলেও অভিযোগ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

 

এ সময় ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অর্থপেডিকস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রফিক আল কাদেরী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এমএ কামাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. গোলাম মোস্তফা ও বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫/রেজা/দিলারা