সিলেটে ২ শিশুসহ অন্তঃসত্ত্বা মা খুন, রহস্য উদ্ধারে পুলিশ
আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম
প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙলে হুটোপুটি করে ঘর থেকে বের হয় দুই ভাই-বোন। আট বছরের মিজান ও চার বছরের আনেসা দিনভর মাতিয়ে রাখে বাড়ি। বাবা-মায়ের খুব আদরের দুটি সস্তান।
কিন্তু ১৬ জুন (বুধবার) সকালে তাদের ঘুম ভাঙলো না। ঘুম ভাঙেনি অন্তঃসত্ত্বা মা আলেমা বেগমেরও। তাদের এ ঘুম আর কখনও ভাঙবে না। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় ধারালো ছুরির পোচে তাদের জীবন প্রদীপ কেড়ে নিয়েছে ঘাতক।
শিশু দুটির বাবা হিফজুর রহমানকেও পাওয়া গেছে গুরুতর আহত অবস্থায়। তাকেও যখম করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। দিনভর জ্ঞান ফেরেনি তার।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অন্তঃসত্ত্বা মা ও দুই শিশু হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে এলাকায়। বুধবার সকালে গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর বিন্নাকান্দি গ্রামে নিজের বসত ঘর থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার রহস্য উদ্ধার করতে দুটি ক্লু নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাড়ির ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
হিফজুরের শ্বশুর আইয়ুব জানিয়েছেন, হিফজুরের ঘরটি তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত। পাশের দুটি ঘরে থাকেন হিফজুরের মামারা। জমি নিয়ে মামাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল হিফজুরের।
এদিকে হিফজুরের মামি আফিয়া বেগম বলেছেন, জমি নিয়ে মামাদের সঙ্গে হিফজুরের কোনো বিরোধ নেই। বরং হিফজুরের পারিবারিক কলহ ছিল।
পুলিশ এই দুটি ক্লু নিয়ে হত্যা রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ফুটফুটে দুটি নিষ্পাপ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর এমন নৃশংস পরিণতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না এলাকাবাসী।
তাদের দাবি, পান ব্যবসায়ী হিফজুর সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। তার পরিবারে এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই দ্রুত রহস্য উদঘাটন করে দোষিদের ধরতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন