ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শহরের রাস্তায় রহস্যময় ভবঘুরে

ফজল হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২৩ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৬:৩১, ২৩ জুলাই ২০২১
শহরের রাস্তায় রহস্যময় ভবঘুরে

‘শুভ সকাল। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে শক্তি দিন।’
‘এবং আপনাকেও,’ যুবতী নারীর সম্ভাষণে রাস্তার ঝাড়ুদার জবাবে বললো। তারপর সে নিঃশব্দে নিজের উদ্দেশ্যে বললো, ‘সৃষ্টিকর্তা আপনার প্রতিটি পদক্ষেপকে আশীর্বাদ করুন।’ 
রামালাহ শহরের কোনো একটা রাস্তার কোণে এই দৃশ্য প্রতিদিন একই মানুষের মধ্যে একই সময় ঘটে– আবু ইব্রাহিম এবং যুবতী নারী– শুধু যা কিছু বদলায়, তা হলো তারিখ এবং মহিলার পোশাক।

আবু ইব্রাহিম ছয় বছরের চাকরি জীবনের দুই মাস শহরের এই এলাকায় রাস্তার ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করছে। সে প্রতিদিন প্রত্যুষে ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং আমাদের সবাইকে অভিবাদন জানায়, মোরগদের উত্তেজিত করে এবং ভোরের আকাশকে উদ্দীপ্ত করে। ‘এই তো আমরা, চমৎকার!’ বলার জন্য সে আমার, রামালাহর, দিকে ঘোরে। তারপর সে আমার রাস্তা ও অলিগলি ঝাড়ু দেওয়া শুরু করে এবং গত রাতের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে আমাকে সারা দিনের জন্য প্রস্তুত করে। একসময় আমি নতুন আলখেল্লায় আচ্ছাদিত হই। তখন আমি দেখি বাড়িগুলো যেন দুলছে, জানালাগুলো চোখের মতো চওড়া হচ্ছে এবং দরজাগুলো আড়মোড়া ভেঙে হাই তুলছে।

প্রতিদিন আমি দেবীর চরিত্রে অভিনয় করি, অত্যন্ত কাছে থেকে আমার লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করি এবং তাদের সঙ্গে গোপন বিষয় আদান-প্রদান করি। যেমন ব্র্যান্ড-নামের আউটলেটগুলোর পিছনে লুকানো দোকানগুলোতে নিত্যদিনের মতো পরিদর্শনে যাওয়ার আগে আজ যুবতী রাস্তার মোড়ে তার হৃদয় পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে গেছে– কোনোটি আমি বলবো না, কেননা তা কঠোরভাবে আমার এবং তার মধ্যে সীমাবদ্ধ। যখন যুবতীকে খুঁজে পাইনি, তখন আমি যে কাজ করেছিলাম তাহলো উজ্জ্বল রঙিন পোশাক, যা সে পরিধান করতে পছন্দ করে, সন্ধান করেছি এবং তারপর সহজেই তাকে খুঁজে পেয়েছি।  যতক্ষণ না পর্যন্ত তার কাজ শেষ হয়েছে, ততক্ষণ সে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে গিয়েছে। তারপর বাড়ি ফেরার আগে সে পুনরায় রাস্তার সেই মোড়ে যায়, যা শুধু সে আর আমি জানি, এবং পুনরায় তার হৃদয় সংগ্রহ করে।  সে রীতিমতো তড়িঘড়ি করে বাড়ি ফিরে যায়। আজ সকালে সে তার অভ্যাস মতো কফির জন্য থামে– রামালায় প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট কফির দোকান আছে এবং সে জানে যে, তার পছন্দের কফির দোকান শহরের সবচেয়ে ভালো কফি তৈরি করে না। যাহোক, সে এবং আরো অনেক খদ্দের সেই দোকানের কফি কেনে এবং ভবিষ্যতে দোকান বদলানো তাদের কাছে কঠিন মনে হয়। ঘটনা কেবল এটুকুই ছিল। তাই সে সেই দোকানের নিয়মিত খদ্দের হয়ে উঠেছে।

কফি দোকানের লোকটি তার খদ্দেরদের সঙ্গে গল্প করার সময় পায় না। তার একমাত্র সময় হলো যখন সে খদ্দেরদের চাহিদার কথা জিজ্ঞেস করে এবং সেই অনুযায়ী সে তা পরিবেশন করে। কেননা সবকিছু ঘটতে তিন মিনিটের বেশি সময় লাগে না। সে প্রত্যেক খদ্দেরকে মাত্র একটি প্রশ্ন করার অনুমতি দিয়েছে এবং তাহলো দিনের খবর। তার খদ্দেররা ছিল বিভিন্ন শ্রেণীর; তারা ছিল অর্থনীতিবিদ, রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, ছাত্র এবং অন্যান্য শ্রেণীর।  এছাড়া সে খদ্দেরদের হালহকিকত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতো এবং প্রত্যেকে একই জবাব দিত, ‘ভালো, ধন্যবাদ।’ তবে সে সব সময় আশা করতো যে, তাদের মধ্যে একজন– পুরুষ বা নারী তাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুক। কিন্তু কেউ কখনও তা করেনি।  তবে আমি, অর্থাৎ রামালাহ, সব সময় তাকে জিজ্ঞেস করি।  প্রতি সন্ধ্যায় সে যখন দোকান বন্ধ করার আগে সবকিছু পরিষ্কার করে, সে আমাকে জবাব দেয়।  আমাকে বলে, ‘আমি ভালো আছি।’ তারপর সে আমার কানের কাছে ফিসফিস করে। কিন্তু আমি বলবো না, সে কী বল ; তা গোপনীয় কিন্তু তার ফিসফিসানি কথা শুনলে সব সময় আমার হাসি পায়।

সকালের নির্ধারিত সময়ের কাজ শেষ করার পর আবু ইব্রাহিম রুকাব স্ট্রীট দিয়ে কফির লোকটির দিকে হেঁটে যায়।  কারণ সেও সেই কফি দোকানের নিয়মিত খদ্দের। তবে বোঝা যায় যে, আবু ইব্রাহিম সামান্য খুঁড়িয়ে হাঁটছিল।  হাঁটার মাঝে সে দোকানের কাঁচ গলিয়ে ভেতরে উঁকিঝুঁকি দেয়।  একসময় একটা পোস্টার তাকে থামতে বাধ্য করে। সুপরিকল্পিত এবং চোখ ধাঁধানো লাল হরফের পোস্টারটি ছিল একটি সঙ্গীত উৎসবের বিজ্ঞাপন, যা কয়েক দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।  উৎসবের সমস্ত তথ্য, সময় এবং জায়গার নাম সে টুকে নেয়। জায়গাটি রশিদ আল-হাদাদিন স্কোয়ার এবং রামালাহ কালচারাল সেন্টারের মধ্যবর্তী এলাকায়, যেখানে বেশিরভাগ সঙ্গীতানুষ্ঠান ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। তার মনে পড়ে দশ বছর আগের একটি অনুষ্ঠানের কথা।

আবু ইব্রাহিম তার বোনকে ফোন করে।  ‘আজ রাতে তোমাকে একটা কনসার্টে নিয়ে যাবো।’
‘কনসার্ট? তুমি কী সত্যি বলছো?’ বোন জিজ্ঞেস করে। ‘আমাকে কেন? তুমি কেন তোমার স্ত্রীকে নিয়ে যাও না?’
‘কারণ এই কনসার্ট আমাদের জন্য। আমরাই সত্তরের দশকে বনি এম-এর গানের তালে নাচতাম।’ 
‘বনি এম! কখন?’
‘আজ রাতে। এখানে তারা প্যালেস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক অ্যান্ড ডান্স ফেষ্টিভেলে অংশগ্রহণ করার জন্য এসেছে।’
ব্যান্ডটি মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় দর্শক ও শ্রোতাদের উল্লাস এবং হাততালির শব্দ শোনা গিয়েছিল, যা তাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে চলেছিল। ‘আমরা প্যালেস্টাইনকে ভালোবাসি!’ মাইজি উইলিয়ামস মাইক্রোফোনে চিৎকার করে। ‘আমরা আপনাদের সবাইকে ভালবাসি- প্যালেস্টাইনের মানুষ! আমরা আপনাদেরকে অনেক দূরে কোথাও নিয়ে যাব। সমুদ্রের দিকে !’

সেই রাতের প্রতিটি বিবরণ স্পষ্ট হয়ে থাকবে: কীভাবে তিনি তার কণ্ঠস্বর নিচুতে নামিয়ে আনেন; তিনি এমন ভঙ্গিতে নেচেছেন যেন বছরের পর বছর নাচেননি।  তিনি ত্রিশ বছর আগের মতো তার বোনের হাত ধরেছেন। যখন ক্ষমতা চলে যাবে এবং তিনি হেসে চিৎকার করে বলবেন, ‘প্যালেস্টাইনে স্বাগতম!’ তারপর মন্থর গতিতে বিদ্যুৎ আসে এবং সঙ্গে আসে সমস্ত রঙিন আলো, উচ্ছ্বাস, ঘূর্ণায়মান খোপা করা চুল, এবং ক্যাসিও হাতঘড়ি, যা সমস্ত বাচ্চারা পরেছে ।

আবু ইব্রাহিম দিবা স্বপ্ন থেকে উদয় হয় এবং হাঁটা অব্যহত রাখে। তার নজরে পড়ে রাস্তার কোণায় সতর্কভাবে ছড়িয়ে রাখা শষ্যদানা। সে সবসময় ভাবতো যে, কে এসে পায়রার জন্য গম ছড়িয়ে দিয়েছে। এ পথে যেসব লোকজন চলাচল করে, সে তাদের নিয়ে একটা ভাবমূর্তি তৈরি করেছে, যা এমন একটি দৃশ্য যেখানে পায়রারা শান্তভাবে তাদের খাবার খাচ্ছে এবং পায়ের চিহ্নের জন্য ফুটপাত বিস্মিত নয় । সে তখনও জানে না কে সেই লোক। তবে সে বুঝতে পারে এবং সেই মুহূর্তে সে বিষয়টি সমাধান করে– অনেকটা এরকম যেমন কেউ যদি বলে যে, সে কোন নতুন দুঃসাহসিক কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে পরদিন আরও সকালে কবুতরের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার আশায় ঘুম থেকে জেগে উঠবে।

পরদিন সকাল ছ’টায় আবু ইব্রাহিম তার বাড়ি থেকে অন্ধকারে বেরিয়ে রাস্তার সেই মোড়ের দিকে এগিয়ে যায়, যেখানে কবুতরদের বন্ধু তাদের জন্য গম রেখে গিয়েছে। সে আকাশের দিকে তাকায়, যার গায়ে এখনও অসংখ্য তারার হালকা হলুদ রঙের ফুটকি লেগে আছে। সে কাছাকাছি রুটির দোকান থেকে একটি কমলা আলো উঁকি দিতে দেখে। তাই সে দ্রুত দৌড়ে গিয়ে বলে, ‘শুভ সকাল, পড়শী।’ তারপর সে রুকাব সড়ক দিয়ে তার পথে ফিরে যায়। সে তার কাঁধের উপর দিয়ে এমন সব রাস্তার দিকে তাকায়, যেসব রাস্তা তাকে ঝাড়ু দিতে হয়। সে তাদেরকে বলে, ‘আমি ফিরে আসবো, অলিগলি পথ। শুধু আমাকে প্রথমে আমার কৌতূহল পূরণ করতে দাও । আমার দেরি হবে না, আমার প্রিয়গণ ।’ হাঁটার সময় সে কল্পনা করে যে, সে যাকে খুঁজছে, সে দেখতে কেমন হবে । সে আপনমনে ফিসফিসিয়ে বলে, সূক্ষ্ম বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কোমল মনের কেউ হবে এবং আমরা বন্ধু হয়ে যাবো। সে যথারীতি খোঁড়াতে খোঁড়াতে কবুতরের কাছে পৌঁছে দেখতে পায় মাটিতে কোন গম নেই। সে উল্লসিত। অবশেষে কয়েক মিনিটের মধ্যে সে তার নতুন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে পারবে। সে নিকটবর্তী একটি দোকানের দরজায় অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেখানে বসে পড়ে। কিন্তু বিষয়টা তত সহজ নয়, যতটা সে আশা করেছিল। তার পায়ের ব্যথার কারণে সে তার নতুন জায়গায় থিতু হওয়ার আগে চোখের পাতা বন্ধ করে। সে জ্যাকেটের পকেট থেকে একটি পুরানো রেডিও বের করে। তারপর সে রেডিওর বোতাম টিপে এবং অ্যান্টেনা টেনে দীর্ঘায়িত করে।

ফেয়ারুজ গান গাইতে শুরু করে: আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার ভালোবাসা, তুমি কোথায় যাচ্ছো? এক ঘণ্টার এক চতুর্থাংশ সময় কেটে যায় এবং তখনও কেউ আসেনি। সে উঠে দাঁড়ায় এবং সুদূরে তাকায়, প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে। সম্ভবত সে কবুতরের বন্ধুকে আসতে দেখবে। কিন্তু কাউকে সে আকর্ষণীয় মনে করে না। আগুন্তুককে নিয়ে সে যা কল্পনা করেছিল, তার সঙ্গে মেলে না। সে দরজায় বসে থাকে । একটি ধূসর কবুতর তার সামনে মাটিতে নেমে আসে এবং আগের দিনের অবশিষ্ট শস্যদানা সন্ধান করে। যখন কবুতরটি কোনও শস্যদানা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়, তখন সে তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে যায়। তার সঙ্গীরা সবাই আল-মানারা চত্বরে  সিংহের মাথায় এবং পিঠে বসেছিল। তাদের ছোট্ট চোখ রাস্তার মোড়ে স্থির হয়ে থাকে এবং তাদের বন্ধুর আসার জন্য অপেক্ষা করে, যে বন্ধু তাদের জন্য গম ছড়িয়ে দিবে। সে ফাঁকা রাস্তাগুলো তাকিয়ে দেখে, যা তাকে প্রথম এবং দ্বিতীয় ইন্তিফাদার কথা মনে করিয়ে দেয় । সেই সময় এই রাস্তাগুলো পাথর, তক্তা এবং পোড়া টায়ারের অবশিষ্টাংশে পূর্ণ ছিল । তার মনে আছে, সেসব দিন এবং রাতের সময় ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর জিপগুলোকে শহরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখার জন্য সে লড়াই করেছিল । যে শহরকে সে ভালোবাসে, সেই আমার, অর্থাৎ রামালাহর, জন্য যা কিছু করেছে, তা নিয়ে সে ভাবে। কীভাবে সে একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা হয়ে আমাকে রক্ষা করেছিল, কীভাবে তার উরুর উপরের অংশে একটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে এবং সেই কারণে সে এখন খোঁড়া হয়ে হাঁটে, কীভাবে সে আমাকে আগলে রাখার জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলে কাজ করতে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল এবং কীভাবে এখন সে অধিকাংশ প্রতিবেশীর চেয়ে আগে জেগে ওঠে, যাতে আমি লোকজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রস্তুত হই।

আবু ইব্রাহিম উঠে দাঁড়ায় । তার চোখ ঘোলাটে। সে যেখানে কাজ করে, সেই এলাকার দিকে ফিরে হাঁটতে শুরু করে। এমনকি সে দুই কদম ফেলার আগেই কেউ একজন তাকে ডাকে, ‘এই যে, শুনছেন!’ তার কাছে কণ্ঠস্বর খুবই পরিচিত, কিন্তু সে পেছন ফিরে তাকায়নি এবং সম্ভাষণের জবাবও দেয়নি। সে হাঁটতে থাকে এবং তার আত্মবিশ্বাসী যে, পায়রাগুলোকে খাওয়ানো হবে এবং তারা তাদের বন্ধুর পরিচয় আবিষ্কার করে খুশি হবে। যখন সে তার নিজের গন্তব্যে পৌঁছে, তখনই সে আপনমনে বলে, 'শহরগুলোকে জানতে হবে কীভাবে গোপন রাখতে হয়। তাই না, রামালাহ?'
‘হ্যাঁ, আমার বৎস।’

লেখক পরিচিতি

ফিলিস্তিনি তরুণ কথাসাহিত্যিক আহমেদ জাবেরের জন্ম ১৯৯২ সালে জেনিন শহরে। তাঁর বেশ কিছু ছোটগল্প স্থানীয় সংবাদপত্র এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ছোটগল্প সংকলন ‘মিষ্টার ব্লু ইন দ্য সিনেমা’-র জন্য তিনি ২০১৭ সালে রামালাহ্-ভিত্তিক আব্দুল কাত্তান ফাউন্ডেশনের ‘ইয়ং রাইটার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার লাভ করেন । তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বর্তমানে হাঙ্গেরীর বুদাপেষ্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইকোমিক্স-এ ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি করছেন।

গল্পসূত্র

‘শহরের রাস্তায় রহস্যময় ভবঘুরে’ গল্পটি আহমেদ জাবেরের ইংরেজিতে ‘সিক্রেটস স্ট্রোল দ্য সিটি’জ স্ট্রিটস’ গল্পের অনুবাদ। গল্পটি আরবি থেকে ইংরেজিতে তরজমা করেছেন অ্যাডাম তালিব। গল্পটি মায়া আবু আল-হায়াত সম্পাদিত ‘দ্য বুক অব রামালাহ: অ্যা সিটি ইন শর্ট স্টোরিজ’ ছোটগল্প সংকলনে রয়েছে এবং সেখান থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।

ঢাকা/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়