ঢাকা     রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

রেকর্ড রান আর ছক্কা বৃষ্টির ম্যাচে হারলো মুম্বাই

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১১, ২৮ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ০৯:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪
রেকর্ড রান আর ছক্কা বৃষ্টির ম্যাচে হারলো মুম্বাই

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটে রান তোলা যেন খুব সহজ। ছোট্ট বাউন্ডারিতে ছক্কা হাঁকানো যেন মামুলি ব্যাপার।

তাইতো বুধবার রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছক্কা বৃষ্টিতে ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙে ৩ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড ২৭৭ রান তুললো। জবাবে মুম্বাইও কম গেল না। তারাও বইয়ে দিলো ছক্কা বৃষ্টির দারুণ বর্ষণ। ২০ ছক্কা হাঁকিয়ে থামলো ২৪৬ রানে। রেকর্ড ৫২৩ রানের ম্যাচে মুম্বাই হার মানলো ৩১ রানে। যা তাদের টানা দ্বিতীয় হার। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে কেকেআরের কাছে মাত্র ৪ রানে হার মানা হায়দরাবাদ জায়ান্ট মুম্বাইকে ঘরের মাঠে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ালো দারুণভাবে।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ট্র্যাভিস হেড ঝড়ে ৪ ওভারেই ৪৫ রান তুলে ফেলে হায়দরাবাদ। এরপর ধীরগতিতে খেলতে থাকা মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১৩ বল খেলে ১ চারে ১১ রান করে আউট হন।

সেখান থেকে ঝড় তোলেন হেড ও অভিষেক শর্মা। তারা দুজন মাত্র ২৩ বলে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৬৮ রান। তাতে ৭.৪ ওভারেই হায়দরাবাদের রান ১১৩ হয়ে যায়। এই রানে আউট হন হেড। মাত্র ২৪ বল খেলে ৯টি চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৬২ রান। স্ট্রাইক রেট ২৫৮.৩৩।

এরপর ঝড় তোলেন অভিষেক ও এইডেন মার্করাম। তারা দুজন তৃতীয় উইকেটে ১৯ বলে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৪৮ রান। তাতে ১০.৫ ওভারে হায়দরাবাদের রান হয় ১৬১। এই রানে আউট হন অভিষেক। তিনি ২৬ বলে ৩টি চার ও ৭ ছক্কায় ২৭৩.৯১ স্ট্রাইক রেটে ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে যান। মাত্র ১৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ভেঙে দিয়ে যান দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।

যাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হায়দরাবাদের রান ২৭৭ রানের চূড়ায় যায় সেই ত্রয়ী- অভিষেক শর্মা, ট্র্যাভিস হেড ও হেনরিক ক্লাসেন (বাম থেকে)।

সেখান থেকে মার্করাম ও হেনরিক ক্লাসেন ঝড় তোলেন। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে মাত্র ৫৫ বলে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ১১৬ রান। তার মধ্যে ক্লাসেন মাত্র ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৭ ছক্কায় ২৩৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে ৮০ রান করেন। আর মার্করাম ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪২ রান। তাতে হায়দরাবাদের দলীয় সংগ্রহ রেকর্ড ২৭৭ রানের চূড়া স্পর্শ করে। যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

এর আগে ২০১৩ সালে ক্রিস গেইলের ১৭৫* রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু করেছিল ২৬৩ রান। এতোদিন এটাই ছিল আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। বুধবার রাতে যেটা ভেঙে দেয় হায়দরাবাদ।

বল হাতে মুম্বাইর হার্দিক পান্ডিয়া ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ১টি, জেরাল্ড কোয়েৎজে ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ১টি ও পিযূষ চাওলা ২ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে মুম্বাইর শুরুটাও হয় উড়ন্ত। রোহিত শর্মা ও ইশান কিষাণের ব্যাটে ৩.১ ওভারেই তারা তুলে ফেলে ৫৬ রান। এই রানে ইশান ফিরেন ১৩ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ২৬১.৫৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ রান করে। ৬৬ রানের মাথায় রোহিতও আউট হন। তিনি ১২ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ রান করে যান।

সেখান থেকে নামান ধীর ও তিলক ভার্মা ঝড় তোলেন। ৩৭ বলে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৮৪ রান। তাতে ১০.৩ ওভারেই মুম্বাইর রান ১৫০ হয়ে যান। এ সময় আউট হন নোমান। তিনি ১৪ বলে ২টি চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রান করে যান।

লড়াই করে যান তিলক। তিনি ১৪ ওভারের মাথায় ১৮২ রানের সময় ফেরেন সাজঘরে। ৩৪ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলে যান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও টিম ডেভিডের ঝড়ে ১৭.৫ ওভারে মুম্বাইর রান হয়ে যান ২২৪। এই রানে ফেরেন হার্দিক ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে।

শেষদিকে ডেভিড ও রোমারিও শেফার্ড চেষ্টা করেও ৩১ রানের ব্যবধান ঘোচাতে পারেননি। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ডেভিডের করা ৪২ ও ২ চার ও ১ ছক্কায় শেফার্ডের করা ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ পর্যন্ত যেতে পারে মুম্বাই। হার মানে ৩১ রানে।

বল হাতে হায়দরাবাদের প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। জয়দেভ উনাদকাট ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি উইকেট নেন শাহবাজ আহমেদ।

দ্রুততম ফিফটিতে ৬৩ রান করা হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা হন ম্যাচসেরা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়