ঢাকা     বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

একজন সাধু মণ্ডল ও বনবিবি উপাখ্যান

সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ১৫ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৩:১৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
একজন সাধু মণ্ডল ও বনবিবি উপাখ্যান

জাল পুরোনো হলে বা ছিঁড়ে গেলেও কাজে লাগানোর অনেক বুদ্ধি আছে। ধানের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়, কখনো ছেঁড়া জাল দিয়ে বানানো হয় হ্যামকের মতো ঘরের দোলনা। সাধু মণ্ডলকে যখন প্রথম দেখি, তখন সে ওরকম একটা হ্যামকে বসে পান খাচ্ছেন। গ্রামের মানুষের মুখের কথা শুনে শুনে খুঁজে বের করেছিলাম সাধু মণ্ডলের বাড়ি। গ্রীষ্মের গরমে তখন নিকোনো ঘরের ভেতর হ্যামকে বসে দুলছেন তিনি। হাতে একটা চুনের কৌটা। বললেন, টুকটাক মাছ ধরতেন কোনো এককালে।

আদতে শুধু মাছ ধরে ঠিক পোষায় না এখানকার মানুষের। কাঁকড়া, পোনা সবই ধরতে হয়। আর মনটা বাঁধা থাকে বাদায়। বাদা মানে সুন্দরবন। দাকোপের লাউডোবে ঢাংমারিতে বনঘেঁষা বসতিতে থাকেন সাধু মণ্ডল। গ্রামের অন্যদের মতো সেও বনজীবী। তবে তাকে খুঁজে বের করার কারণ এক জনশ্রুতি। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, সাধু মণ্ডল বনবিবির অধিক নিকটজন। তাই বিপদে-আপদে তাঁরাও সাধু মণ্ডলকে এসে বলেন, একটু তদবির করে দিতে। কিন্তু সাধু মন্ডল আবার এতে ভীষণ বিরক্ত। তিনি নিজের মতো থাকতে চান। ‘ওসব কিছু না’ বলে-টলে মানুষ বিদায় করেন। কিন্তু এমন কিছু নিশ্চয়ই ঘটেছে তাই স্থানীয়দের কারো কারো এমন বিশ্বাস হয়েছে। তাই আড়ালের গল্পটা জানতে চাই বলেই, গ্রীষ্মের দাবদাহে নোনা মাটির দেশে পুড়ে পুড়ে আবার তাঁর বাড়িতে ঢুঁ দেওয়া।

সাধু মণ্ডলের বাড়িতে প্রবেশ পথে দেখা গেল বনবিবির থান। সাধারণত থান হয় বনের কাছে। বনজীবীরা সেখানে হাজত¬-মানত করে জঙ্গলে প্রবেশ করেন। দেখা যায় একটা নতুন গামছা, আমপাতা, ডাব রাখা আছে বনবিবির সামনে। একবার তেলের একটা ছোট কাচের বোতলও দেখেছিলাম। হয়তো মানত ছিল বলে কোনো অভাবী বনজীবী এটুকুই দিতে পেরেছেন। আসার পথেই দেখলাম ঢাংমারি খাল ঘেঁষা গোলপাতার ঝাড়ের ভেতর দাঁড়িয়ে আছেন বনবিবি তাঁর শাহ জাঙ্গুলি, দুঃখেসহ পুরো বাহিনী নিয়ে। তাদের সাজসজ্জায় বিত্তের তেমন ছাপ থাকে না বলে খুব আপন মনে হয়। যেন পিরানী বা দেবীর চেয়ে বেশি সে কোনো এক চেনা আত্মীয়। তবে বনের মানুষ ছাড়া তাঁর সত্যিকার মূল্য আমাদের মতো নগরের মানুষের পক্ষে করা কঠিন। ঢাংমারি খালের এ পাশে তাঁর থান। ওপাশে শুরু হয়েছে বাইন, হেঁতাল, গরানের সারি। দিনের বেলায়ও ছম ছমে এক সবুজাভ গাঢ় আলো বনে।

সাধু মণ্ডল জানালেন, দৃষ্টিসীমার ভেতর মা না থাকলে মনের জোর কমে যায়, তাই নিজের গৃহ প্রবেশ পথে তাঁর স্থান করে দিয়েছি। সাধু মণ্ডলের কাছে বনবিবির এই মর্যাদা এক পুরুষের গল্প নয়। সাধু মণ্ডলের বাবা, ঠাকুরদা সকলেই ছিলেন বনজীবী। তাঁরা বহুবার বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন এই বনরক্ষাকর্তীর দয়ায়। তাঁরা ছিলেন গত শতকের মানুষ। সে সময়ে এখানকার বনের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, বনবিবির সম্পর্ক যেন আরও বেশি ঘনিষ্ঠ ছিল। 

তখন স্যাটেলাইটে বনকে পুরো দেখে নেওয়া সম্ভব ছিল না। ছবি বলতে ছিল চোখে দেখা স্মৃতি। আলো, রোদ-ছায়া, জোছনা যাই হোক আকাশ থেকে যখন যতটুকু আসে, ওরকম এক সময়ের সুন্দরবনকে চিত্রিত করেছিলেন ঔপন্যাসিক বরেন গঙ্গোপাধ্যায়। গত শতকের সত্তরের দশকে প্রকাশিত ‘বনবিবি উপাখ্যান’ উপন্যাসের একটি ছোট্ট অংশ পাঠ করা যাক, ‘অন্ধকারে জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে রজনীর মনে হচ্ছিল, এত বাতাস আর এলোমেলো বৃষ্টির ছাঁট বনের দিক থেকেই যেন ছুড়ে ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে কাছারি-বাড়ির দিকে। জমাট বাঁধা অন্ধকারে গাছগাছালি ঝোপঝাড়ের আলাদা কোনো চেহারা নেই, কিন্তু বিদ্যুৎ ঝলসে উঠলেই চকিতে যা একটু দেখা যায়। অরণ্য যেন ফুঁসছে। ফুলে ফুলে উঠছে। নেহাতই মানুষের মতো ছুটোছুটি করার ক্ষমতা নেই জঙ্গলের। থাকলে কাছারিবাড়িটাকে এক নিমেষেই কাদায় চটকে দিয়ে যেত।’
ব্রিটিশ শাসনামলে নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী নিজেদের বহুকাল ধরে ফেলে রাখা দ্বীপে আবাদ শুরু করতে চেয়েছিলেন। সে জন্য কলকাতা শহর থেকে কয়েকটি নৌকায় করে পাঠানো হয়েছিল শ্রমিকদের। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই দ্বীপ সুন্দরবনের ভেতরে বসতিহীন এক দ্বীপ। রজনী সেই শ্রমজীবীদের একজন। তাদের চোখে দেখা সুন্দরবনের বর্ণনা দিয়েছেন লেখক। যেখানে বহু অভিজ্ঞতার পর তাঁরা সিদ্ধান্তে আসে, যে করেই হোক বড় করে বনবিবির পূজা না করে এ বাদায় কিছুই শুরু করা সম্ভব না।

গোলপাতার জীর্ণ ছাউনির ভেতর আরও জীর্ণ হয়ে যাওয়া মাটির বনবিবি আর তাঁর বাহিনী

বনের ভেতর একরাতে হয়েছিল সে পূজা। সবাই শ্রান্তিতে ঢলে পড়লে একজন শুধু দেখেছিল, জোছনার ভেতর কেউ একজন বনের ভেতর মিলিয়ে গেল। সে নারী। সেই মানুষটি ঠাহর করতে পারেনি আদতে সে কী দেখেছে। এই নির্জন দ্বীপে ধারেকাছে কোনো নারী নেই। তাহলে কে মিলিয়ে গেল জোছনার ভেতর বনের পথ ধরে? ঔপন্যাসিক পাঠককে ধারণা দেন, এ হচ্ছে ভক্তের হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়া বনবিবি। ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাস আমার চেনা নিরক্ষর বনজীবী সাধু মণ্ডল পড়েননি। কিন্তু তিনি শোনালেন নিজের জীবনের এক গল্প।

তখন কার্তিক মাস। সুন্দরবনে জাঁকিয়ে হিম পড়ছে। গেওয়া গাছে এ সময়টা ফুল আসে। নদীর নোনা পানিতেও কুয়াশার আস্তরণ পুরু হয়। এমন সময় প্রকৃতি একেবারে যেন স্থির হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। গাছের পাতা শুকিয়ে আসে। নদীতে জলের কোনো আন্দোলন নেই। তবে জোয়ার- ভাটার নিয়ম ঠিকই আছে। মাছ পাওয়া যায় নানারকম। সেদিন রাতে মাছ ধরতে বের হয়েছিলেন সাধু মণ্ডল। ঢাংমারি ধরে ধরে অনেক দূর চলে গিয়েছেন। কয়েক হাত দূর দিয়ে সুন্দরবন। অন্ধকারে তার রূপ বদলে হয়েছে অজানা এক জগৎ। কুয়াশার আবরণ যেন আরও রহস্যময় করে তুলেছে ওই কালো বনরেখা। বনের এমন চেহারা অপরিচিত নয় সাধু মণ্ডলের মতো বনজীবীদের কাছে।

নৌকায় সে তখন একাই। বাদা বা নদী সবই নিজের মুখচ্ছবির মতো চেনা। সাধু মণ্ডলের কয়েক পুরুষ ধরে উপার্জনের উৎস বনের কাঠ, মধু, গোলপাতা আর নদীর মাছ। কার্তিক মাসের সেই হিমের রাতে ঝড়ঝাপটার ভয় নেই, কোনো আশঙ্কাও নেই ঝড় আসার। শীতকালে এ দিক থেকে বনের মানুষ কিছুটা মুক্ত থাকে। মাছ খারাপ পাওয়া যায়নি সে রাতে। তবে মাছ ধরাও নেশার মতো। আর কিছুক্ষণ করতে করতে কখন যে সময় ফুরিয়ে যায় টের পায় না সাধু!

আমরাও সাধু মণ্ডলের বাড়িতে থাকার সময় কমে আসছে। মোংলা ঘাট অতিক্রম করে ফিরতে হবে বাংলোয়। কিন্তু গল্পের মূল অংশে যাচ্ছেন না তিনি। এবার তিনি হ্যামক থেকে উঠে একটু পায়চারি করলেন। গলার তুলসী কাঠের মালাটা একবার হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিলেন। কিছুটা অস্থির লাগছে তাকে। সম্ভবত ঘটনাটি তিনি বলবেন কি না তা নিয়ে দ্বিধান্বিত। তাকে একটু সহজ হতে দেওয়া প্রয়োজন। নগরের মানুষদের বিশ্বাসে আস্থা নেই বাদার মানুষের। জানালাম, ‘বনবিবি জহুরানামা’ নামে লেখা পুঁথি থেকে কিছু কিছু পড়ে আমি সামান্য জানি বনবিবি সম্পর্কে।

অক্ষর না-জানা সাধু  প্রশ্রয়ের হাসি দিয়ে বললেন, সব কি আর কিতাব পড়ে বোঝা যায় দিদি। শুনেছি আমার ঠাকুরদা বাঘ বশ করতে জানতেন। বাঘের মুখে গোলপাতা দিয়ে বনে ঢুকতেন। ফেরার পথে আবার মন্ত্র পড়ে বশ তুলে নিতেন। এখন অবিশ্বাস্য লাগে ঠিকই, কিন্তু তখনকার মানুষ তো তা মান্য করত।

মা বনবিবির ঘটনাটা জানতে চান তো? এমন অভিজ্ঞতা আমার হয়তো একার না। বাদার আরও কারও কারও আছে। এবার তিনি পুনরায় দম নিয়ে শুরু করলেন গল্পটা।
তো আমি সেই মাছ ধরতে ধরতে নেশায় পড়ে গেলাম মাছের। অনেকটা পথ চলে গেছি নৌকা নিয়ে। রাতও অনেক হয়ে গেছে। ঠান্ডায় হাড় পাঁজর সব জমে যাচ্ছে। আশপাশে কোনো নৌকা নেই। একসময় ক্ষান্ত দিলাম। চোখে ঘুমঘুম ভাব। মাঝরাতে মনে হলো অনেক হয়েছে।

তখন জাল গুটিয়ে নিলাম। ছোট জাল। নৌকার ছইয়ের ভেতর ঢুকে গেলাম। ওই জায়গায় একটু ওম। কিছুক্ষণ বসে রইলাম সেভাবে। আবার নাও বেয়ে তখন আর ফেরার শক্তি নেই। এদিকে বনের একেবারে কাছে গিয়ে নৌকা বাঁধবো সে সাহসও পাচ্ছি না। এমন সময় তারা (বাঘ) চলাচল করে। ঝড় বাদলের ভয় নেই বলে নৌকা ওভাবে রেখেই ঘুমিয়ে গেলাম। এই নদীর স্বভাবচরিত্র আমার জানা। সত্যি ঘুম চলে এল।

কতক্ষণ ঘুমিয়েছি হিসাব নেই। হঠাৎ দেখি আমার নৌকার গলুইয়ে দাঁড়ানো এক নারী। সে আমাকে চিৎকার করে কিছু বলছে। মনে হচ্ছে ধমকাচ্ছে। এই মাঝরাতে নদীর ভেতর হঠাৎ কোতা থেকে নারী আসবেন, নৌকায় উঠবেন এসব বোঝার মতো অবস্থা স্বপ্নের মধ্যে ছিল না। আমি যে স্বপ্ন দেখছিলাম তাই তো বুঝতে কয়েক মুহূর্ত লাগল। জেগে বসে দেখলাম নৌকায় কেউ নাই। থাকার কথাও না। কেন যেন মনে হলো স্বপ্নে দেখা নারী আমাকে বিপদের আভাস দিচ্ছিলেন। বিপদটা কি তা বুঝতে পারিনি। তখন ভোর হয় হয়। অন্ধকার পাতলা হয়ে আসছে।

হঠাৎ মনে হলো আমার নৌকা একটু একটু করে পানির ভেতর ডুবে যাচ্ছে। পানির তলা থেকে কিছু টেনে ধরেনি। নৌকায় ওজন তেমন কিছু না, কিন্তু নৌকা ডুবছে। বুঝলাম তলায় কোথাও ছিদ্র হয়েছে। সেখান দিয়ে জল ঢুকছে। পাটাতনের তলায় রাখা মাছগুলো ততক্ষণে ভাসছে জলে। ততক্ষণেই যতটা জমেছে, একা সেচে ফেলার সুযোগ নেই। আর ছিদ্র বন্ধ না-করলে আসলে সেঁচেও তো লাভ নেই। কার্তিক মাসের হিম অথচ তখন শুরু হলো বাতাস। এত বাতাস, মনে হচ্ছিল বনের সামনের দিকের ছোট গাছগুলো সব উড়ে আসবে। নৌকা নিয়ে ঢাংমারি ধরে ধরে আমি আসলে বহুদূর চলে গিয়েছি। এ নদীতে কুমির–কামট আছে। হতবিহ্বল অবস্থায় কী করব বুঝতে পারছি না। আশপাশে কোনো নৌকা আছে কি না খুঁজছি। তখন দেখলাম বাদার ওপর দিয়ে একপাশের আকাশ এখনো ঘোর কালো। বাতাসের ঘ্রাণ বাড়ল। বুঝতে না বুঝতেই ঝাঁপিয়ে আসলো ঝড়। কার্তিক মাসে এমন আকস্মিক ঝড় আমি দেখিনি। একদিকে নৌকায় জল, যখন-তখন ডুববে। আরেকদিকে ঝড়। সেই অবস্থা থেকে কেমন করে বেঁচে ফিরলাম সে আরেক বড় গল্প। কিন্তু আমার স্বপ্নে কে এসেছিল বলেন? ফিরে আসার পর স্বপ্নটা যেন কাকে বলেছিলাম আমি। সেখান থেকে মুখে মুখে ছড়িয়েছে। আসলে কি আমার ঠাকুরদা বাঘ বশ করতে জানতেন, সেখান থেকেই সবার একটা মান্যতা আছে। এ জন্য তাদের ধারণা বংশ পরম্পরায় আমি হয়ত কোনো ক্ষমতা পেয়েছি। কিন্তু এসব কোনো ক্ষমতা না দিদি। ক্ষমতা হচ্ছে বিশ্বাস আর ভালোবাসার। আপনারা শহরের মানুষ ঠিক বুঝতে পারবেন না, মা বনবিবিকে আমরা কেন এত ভক্তি করি।  

সুন্দরবনের বুকের ভেতর গড়ে ওঠা মনুষ্য বসতি এই লাউডোব। ঢাংমারি খাল ঘেঁষা ওই বাড়িতে বসে ভর দুপুরে মনে হচ্ছিল শুধু বনবিবি নয়, ‘বনবিবি উপাখ্যান’ এর রজনী নামের চরিত্রটিও বাস্তব। মানুষের সব অনুভব প্রমাণ করা যায় না, প্রয়োজনও নেই। প্রতিটি মানুষের পৃথিবীর অনুবাদ হয় তাঁর নিজের অনুভব দিয়ে। যেমন প্রায় শত বছর আগে সরলা বসু কিশোরী বধূ হয়ে এসেছিলেন এই বাদাবনে স্বামীর সঙ্গে। ভর দুপুরে তিনি বনের ভেতর দেখেছিলেন বনবিবিকে গাছের ডালের মৃদু কম্পনে। সেই অনুভবের সত্য মিথ্যা নির্ণয় কি সম্ভব; না এর প্রয়োজন আছে? বিশ্বাসের প্রসাদপ্রাপ্ত সাধু মণ্ডলের বাড়ি থেকে তাই নিরুত্তর থেকেই বিদায় নিলাম। সাধু মণ্ডল তাঁর ঘর থেকে বের হয়ে বিদায় দিতে বললেন, আমার বাড়ির মা'কে (বনবিবির থান) একবার দেখে যান। এবার ভালো করে দেখলাম, গোলপাতার জীর্ণ ছাউনির ভেতর আরও জীর্ণ হয়ে যাওয়া মাটির বনবিবি আর তাঁর বাহিনী। কোনো নৈবেদ্য নেই সেখানে, রোদ বৃষ্টির ছাঁটে একেবারে মলীন। এত নাইয়ের মধ্যেও প্রবলভাবে যা আছে তা হচ্ছে অভাবী বনজীবী মানুষের আস্থার এক প্রতীক।

লেখকের নোট
দাকোপের লাউডোবে সাধু মণ্ডলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ২০১৯ সালে
সাধু মণ্ডল আঞ্চলিক উচ্চারণে কথা বলেছেন। কিন্তু তা লেখায় ত্রুটি হতে পারে বলে প্রমিত বাংলায় লেখা হয়েছে
 

তারা//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়