খাগড়াছড়ির অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটক
দুলাল || রাইজিংবিডি.কম
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ি (ছবি : দুলাল)
দুলাল হোসেন, খাগড়াছড়ি : নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। পার্বত্য এ জেলার অপরূপ সৈন্দর্যে সবাই মুগ্ধ ।
ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটক এখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন খাগড়াছড়িতে। অনেক পর্যটকে আগমনে খুশি স্থানীয় হোটেল ব্যাবসায়ীরা। আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।
প্রকৃতি অকৃপণভাবে সাজিয়েছে খাগাড়াছড়িকে। যেদিকে চোখ যায় শুধূ সবুজ আর সবুজ। সবুজের চাদরে যেন ঢেকে আছে পুরো খাগড়াছড়ি। জেলা শহরের নিকটবর্তী আলুটিলা আর চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর এঁকে বেঁকে চলার অপরূপ দৃশ্য বিমোহিত করে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
চারিদিকে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজ পাহাড়, এবং ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টীর বৈচিত্র্যময় জীবন-সংস্কৃতির কারণে পর্যটকদের কাছে ক্রমেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে পার্বত্য এ জেলা।
জেলায় হর্টিকালচার পার্ক, পর্যটন মোটেল সংলগ্ন হেরিটেজ পার্ক, আলুটিলার রহস্যময় প্রাকৃতিক গুহা, রিছাং ঝর্না, মাটিরাংগার শতবর্ষী বটগাছ, মানিকছড়ির বনলতা এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড, পানছড়ির শান্তিপুর অরণ্যকুটির, মহালছড়ির দেবতা পুকুর, দিঘীনালার হাজাছড়া-তৈদুছড়া ঝর্না সাজেক ভ্যালিসহ রয়েছে শতাধিক মনোরম পর্যটন স্পট।
প্রকৃতির অপরূপ সে সৈন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা দলে দলে ছুটে আসছেন খাগড়াছড়িতে। আবাসিক হোটেলগুলোতে আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত সব সিট বুকিং রয়েছে বলে মালিকসমিতি সূত্রে জানা যায় । বিগত বছরগুলোর তুলনায় প্রচুর পর্যটক আসছে এ বছর।
ফারজানা আক্তার নামের এক পর্যটক জানান, তিনি ফেনী থেকে স্বপরিবারে এসেছেন। খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আলুটিলার গুহা ও রিছাং ঝর্না দেখে ভালো লেগেছে।
রেজাউল করিম নামের আরেক পর্যটক বলেন তিনি পাবনা থেকে এসেছেন। খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক দৃশ্য, সর্পিল রাস্তা, নদী ও জেলা পরিষদ দেখে তার ভালো লেগেছে।তিনি আরো বলেন সাজেক ভ্যালিতে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী তাকে দারুন বিমোহিত করেছে ।
মারুফা মিশু নামের আরেক পর্যটক পরিবারের সঙ্গে ঢাকা থেকে এসেছেন। তিনি বলেন খগিড়াছড়ি তার খুব ভালো লেগেছে। তবে পর্যটন স্পটগুলো আরো ভালো করে সাজালে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। এখানে সবকিছু খুব অল্প খরচে পাওয়া যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন এর চাইতে কম খরচে আর কোথাও বেড়ানো যাবে না।
বেসরকারি হোটেল গাইরিংয়ের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন অনেক পর্যটক আসায় ভালো ব্যাবসা হচ্ছে বলে তারা খুশি।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম বলেন ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের খাগড়াছড়িতে আসার আমন্ত্রন জানিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য খাগড়াছড়ি অত্যন্ত চমৎকার জায়গা। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
রাইজিংবিডি/৩ আগস্ট ২০১৪/দুলাল/নওশের
রাইজিংবিডি.কম