জেল হাজতে শরিয়ত বয়াতি
ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া শরিয়ত সরকার (৩৫) ওরফে শরিয়ত বয়াতিকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে অসাম্প্রদায়িক ও সংস্কৃতিমনা মানুষজন তার মুক্তি চেয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আকরামুল ইসলাম তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানির পরবর্তী তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি।
গত ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের একটি মামলায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর এলাকা থেকে শরিয়ত বয়াতিকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ।
শরিয়ত বয়াতি মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামের মৃত পবন সরকারের ছেলে।
অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলার রৌহাট্টেকে এক গানের অনুষ্ঠানে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেন শরিয়ত বয়াতি। এর পর কিছু লোক তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
আগধল্যা গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ফরিদুল ইসলাম শরিয়ত বয়াতির বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা করলে শুক্রবার রাতে শরিয়ত বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার ছিল রিমান্ডের শেষ দিন।
শরিয়ত বয়াতির ভাই মারফত সরকার বলেছেন, আমার ভাই মাটির মানুষ। সে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। নবী এবং ধর্ম সম্পর্কে সে আপত্তিকর কথা বলতে পারে না।
শরিয়ত বয়াতিকে দেখতে আসা বাউল শিল্পী বাবলি দেওয়ান বলেন, পালা গান গাইতে গিয়ে যুক্তি-তর্ক করতে হয়। তখন কোনো ভুল হতে পারে।
বাউল শিল্পী কাজল দেওয়ান বলেন, কথা বলতে গেলে ভুল হতে পারে। শরিয়ত বয়াতির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
বাউল শিল্পীদের পক্ষ থেকে কাজল দেওয়ান মুসলমানদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, শরিয়ত বয়াতি তার আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত। রিমান্ডে সে তার ভুল স্বীকার করেছে।
টাঙ্গাইল/শাহরিয়ার সিফাত/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন