ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ময়মনসিংহে ৪ জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:১৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
ময়মনসিংহে ৪ জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন, বাংলাদেশ’র (জেএমবি) চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট, ল্যাপটপ এবং মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. জাকির হোসেন (৫০) পিতা মো. আবুল হোসেন বুলবুল, মো. আক্কাছ আলী (৫৫) পিতা মৃত হাজী আলতাফ আলী মন্ডল, মো. হারুন (৩৫) পিতা মৃত আব্দুল কাদের, মো. ওসমান গনি মল্লিক (৪৮) পিতা মৃত আবুল হাসেম। তারা সবাই জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ এর সিনিয়র এএসপি জুনায়েদ আফ্রাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ‌্য জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে জেলার ফুলবাড়ীয়া জোরবাড়ীয়া গ্রামের মো. আবুল হোসেন বুলবুলের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১৪'র সিনিয়র এএসপি জোনায়েদ আফ্রাদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, যে ফুলবাড়ীয়া জোরবাড়ীয়া গ্রামের মো. আবুল হোসেন বুলবুলের বাড়ি কয়েকজন জঙ্গি নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। এমন খবর পেয়ে র‌্যাব-১৪ অভিযান চালালে পালিয়ে যাওয়ার সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করে।’

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা বিভিন্ন উগ্রবাদী বক্তার বয়ান শুনতেন এবং এইসব শুনে তারা উগ্রবাদের প্রতি উদ্ভুদ্ধ হয়ে জঙ্গি সমর্থক হয়ে উঠে। গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদেরকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসাবে পরিচয় দেন। 

তিনি আরও বলেন, আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশলে কাজ করতেন এবং মসজিদসহ বিভিন্ন জায়গায় গোপনে বৈঠক করে উগ্রবাদী ও নাশকতামূলক তালিম দিতেন এবং সংগঠনের জন্য নিয়মিত চাঁদা তুলে সংগঠনের তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখতেন। 

এই তহবিল তারা বর্তমানে যেসব জেএমবি সদস্য জেলে বন্দী আছে তাদের হাজত থেকে বের করে এনে নতুনভাবে নাশকতা কার্যক্রম শুরু করাসহ সংগঠনের অন্যান্য খরচ বহন করার কাজে ব্যবহার করতেন। উগ্রবাদ কায়েম করার লক্ষে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিলেন বলে স্বীকার করেন তারা।

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

মিলন/সাজেদ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়