ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জামালপুরে গাইনি ডাক্তার হত্যা মামলায় পুরুষ গাইনি ডাক্তার আটক

জামালপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৯:০৬, ১১ অক্টোবর ২০২০
জামালপুরে গাইনি ডাক্তার হত্যা মামলায় পুরুষ গাইনি ডাক্তার আটক

জামালপুরের মেলান্দহে আলোচিত গাইনি ডাক্তার সুলতানা পারভীন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহাদাত হোসেন নামে এক পুরুষ গাইনি ডাক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  

মেলান্দহ থানার ওসি মো. রেজাউল করিম আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, নিহত গাইনি ডাক্তার সুলতানা পারভীনের সাথে ডাক্তার শাহাদাত হোসেনের একটা সম্পর্ক ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। মামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ডাক্তারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। অচিরেই ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হবে।’

এদিকে নিহত গাইনি ডাক্তার সুলতানা পারভীনের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, ডাক্তার শাহাদাত হোসেনকে আটক করা হলেও আমাদের কিছু জানায়নি পুলিশ। আমরা ভিন্ন মাধ্যমে এ খবর পেয়েছি।

সুলতানা পারভীনের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আজাদ জানান, আমার নিহত মেয়ে মৃত্যুর আগে তার মাকে জানিয়েছিল যে, জামালপুরে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ও কিছু শত্রু তৈরি হয়েছে। তারা আমার জন্য হুমকিস্বরূপ। সম্ভবত পেশাগত দ্বন্দ্বেই আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ের মোবাইলে ডাক্তার শাহাদাত হোসেনের কথপোকথন ও মেসেজ রেকর্ড আছে।

নিহত ডাক্তারের পিতা আরও বলেন, মামলার স্বার্থে ওই ডাক্তারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আমার ধারণা। আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

জানা গেছে, ডাক্তার শাহাদাত হোসেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। জামালপুরের মানবসেবা হাসপাতালসহ বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতালে তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। তার সাথে নিহত ডাক্তারের পেশাগত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীন এ প্রসঙ্গে বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আটক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি যাতে নিহত গাইনি ডাক্তারের মৃত্যু রহস্যের প্রকৃত কারণ উঠে আসে।

উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট বিকেলে মেলান্দহ হাসপাতাল কোয়ার্টার থেকে গাইনি ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারেরর সময় ওই ডাক্তারের বিছানা থেকে প্যাথেডিনের ৫টি এ্যাম্পুল ও একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের নানা স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ নিয়ে রহস্যের জট দানা বাঁধে। নিহত ডাক্তারের পরিবারের দাবি ছিল তাকে হত্যা করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট রাতে মেলান্দহ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নিহত ডাক্তারের ছোটবোন জামাই আসাদুল হাফিজ।

সেলিম/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়