ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বগুড়ার বেলাল পরামানিক এখন গোপালগঞ্জের টমটমওয়ালা

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১১, ১৯ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:১৬, ১৯ নভেম্বর ২০২০
বগুড়ার বেলাল পরামানিক এখন গোপালগঞ্জের টমটমওয়ালা

বগুড়ার বেলাল পরামানিক এখন গোপালগঞ্জের টমটমওয়ালা। বয়স প্রায় ৭০। মাটির তৈরি শিশুদের খেলনা টমটম বিক্রিই তার পেশা ও নেশা। 

বাড়ী বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার দুপচাঁচিয়া গ্রামে। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময়েই বেলাল পরামানিককে গোপালগঞ্জে দেখতে পাওয়া যায়। তিনি গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী এসব জেলাতেই খেলনা টমটম নিয়ে ঘুরে বেড়ান।

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় দেখা হয় তার সাথে। এখানে তিনি এসব খেলনা বিক্রি করছিলেন। আলাপকালে তিনি জানান, খেলনা টমটম বিক্রি তার বাপ-দাদার আদি পেশা। তাই এই পেশাটিতে আঁকড়ে আছেন তিনি। বললেন, এক সময় বিভিন্ন মেলায় এসব টমটম খেলনা দেখা গেলেও কালেক্রমে তা হারিয়ে যাচ্ছে। 

বেলাল জানান, তার সংসারে রয়েছেন স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই ছেলের বউ। বড় ছেলে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বাকী তিন ছেলে পোল্ট্রি খামারের ব্যবসা করে সাবলম্বী। সংসারে কোন খরচ দিতে না হলেও পেশা ও নেশার টানে টমটম বিক্রি করে বেড়ান তিনি।

তিনি জানান, একটি টমটম তৈরি করতে বাঁশের চটা, মাটি দিয়ে তৈরি একটি ঢোল ও দু’টি চাকার প্রয়োজন হয়। একটি টমটম বানাতে ১০টাকার মত খরচ হয়। আর প্রতিটি টমটম বিক্রি করেন ২০ টাকায়। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে শতাধিক টমটম বিক্রি করে থাকেন তিনি। এতে প্রতিদিন আয় হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এ আয় দিয়েই স্ত্রী আর নিজের খরচ ভালভাবেই চলে যায় তার।

এ সময় টমটম কিনছিলেন সমীর বিশ্বাস, জসিম শেখ। তারা বললেন, ছোট বেলায় কালী পূজা, বৈশাখি মেলাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ মেলায় এসব টমটম বিক্রি হতো। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব খেলনা হারিয়ে গেছে। তাই এ খেলনা দেখতে পেয়ে বাড়ির ছোটদের জন্য কিনছেন।

গোপালগঞ্জ/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ