পুরুষকে নারী সাজিয়ে প্রতারণা: হেফাজত নেতা কাশেমীকে অব‌্যাহতি

পুরুষকে নারী সাজিয়ে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষকদের ব্লাকমেইলিং, ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামানোসহ বেশ কিছু অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা আব্দুর রহিম কাসেমীকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদ্রাসা থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো মাদ্রাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মুফতি মাওলানা মুরাবকুল্লাহ স্বাক্ষরিত মাদ্রাসার সভার কার্য বিবরনিতে মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে ১ ডিসেম্বর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। 

মাদ্রাসার সভার কার্যবিবরনিতে থেকে জানা গেছে, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে নারী সাজিয়ে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষকদেরকে ব্লাকমেইলিং করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিক্ষক যেন মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদ্রাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মুবারকুল্লাহ স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীতে বলা হয়, মাওলানা আব্দুর রহিম গত ১২ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে মাদ্রাসার ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ করান। জামিয়ার সিনিয়রদেকে তিনি তোয়াক্কা করেন না। নিজের সহযোগী আব্দুল কুদ্দুসকে নারী সাজিয়ে মাদ্রাসার মুরুব্বিদের ব্লাকমেইলিং করার চেষ্টা করেন। আব্দুল কুদ্দুছ বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি এনামুল হাসান বলেন, ‘মাদ্রাসার আভ্যন্তরীণ কারণে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে জানানো হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, বরখাস্তের কাগজ এখনো তিনি হাতে পাননি। কাগজপত্র না দেখে তিনি কোনো বক্তব্য দেবেন না।