ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বেপরোয়া চান্দের গাড়ি-ব‌্যাটারিচালিত রিকশা, বাড়ছে দুর্ঘটনা

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
বেপরোয়া চান্দের গাড়ি-ব‌্যাটারিচালিত রিকশা, বাড়ছে দুর্ঘটনা

হবিগঞ্জের সড়ক-মহাসড়কে অবাধেই চলছে ব‌্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন, চান্দের গাড়িসহ ফিটনেসহীন সব যানবাহন। অভিযোগ রয়েছে, চালকরা কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই টাকার বিনিময়ে পেয়ে যাচ্ছেন এসব বাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স। তারা এত বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান যে, মুহূর্তেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। ঘটে প্রাণহানিও।

ব‌্যাটারিচালিত রিকশা চালায় কিশোর সুজন মিয়া। বয়স কম হলেও সংসারের চাকা সচল রাখতে তাকে রিকশা চালাতে হচ্ছে। আলাপকালে সে জানায়, মাত্র কয়েক দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে রিকশা চালাচ্ছে। নেই তার ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাতে তার কিছু আসে যায় না।

তার মতো অনেক কিশোরই রয়েছে, যারা ব‌্যাটারিচালিত রিকশার পাশাপাশি টমটম, নসিমন-করিমন, চান্দের গাড়িসহ বিভিন্ন ফিটনেসবিহীন যান চালাচ্ছে।  
অনেকেই গাড়ির হেল্পার থেকে চালক হয়েছেন। তাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। অভিযোগ রয়েছে, তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লাইসেন্স ও ভুয়া লাইসেন্স সংগ্রহ করে এসব যানবাহন চালান।  

সচেতন মহল বলছে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।  বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ির বেপরোয়া গতি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, বেপরোয়া চালক ও গতি ঠেকাতে না পারলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় বলেও তারা মনে করেন। 

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কে ব‌্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয় না। পেলেই মামলা দেওয়া হয়। সড়কের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশ কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে।’

হবিগঞ্জ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) অরুণ বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘হবিগঞ্জে ডাম্পিং স্টেশন নেই। তাই গাড়ি আটক করে রাখায় সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ প্রয়োজন। তাহলে ফিটনেসবিহীন আটক করে স্টেশনে রাখা যাবে। বর্তমানে গাড়ি আটক করে থানায় রাখতে হচ্ছে। আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছি।’

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) হবিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত ত্রুটিপূর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৬ মাসে প্রায় ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এরপর করোনার কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। ’

মো. নুরুজ্জামান আরও বলেন, ‘সড়কে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নিতে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে হাইওয়ে পুলিশ। আমরা যোগ্য চালককেই লাইসেন্স দিচ্ছি।’ কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলেও তিনি দাবি করেন। 

/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়