ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খেলার নাম হাঁস ধরা!

ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, নীলফামারী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ৭ জুন ২০২১   আপডেট: ১৭:৫৫, ৭ জুন ২০২১
খেলার নাম হাঁস ধরা!

ঝাঁপ দেওয়ার জন্য ২০ জন যুবক পুকুরপাড়ে প্রস্তুত। অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত শত শত মানুষ। রেফারির বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে পুকুরের এক পাড়ে ছেড়ে দেওয়া হয় একটি হাঁস। সেই হাঁস ধরতে অপর পাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিযোগী যুবকরা। আর এর মধ্য দিয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বসুনিয়াপাড়া গ্রামে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী হাঁস ধরা খেলা।    

প্রায় দেড় শত মিটার সাঁতার কেটে প্রতিযোগীরা কাঙ্কিত হাঁসের কাছে পৌঁছায়। তবে দুষ্টু হাঁস কাউকে ধরা দিতে চায় না। ধরতে গেলেই ডুব দেয়। আর এতে হাসির রোল পড়ে যায় পুকুর পাড়ে। নিজের পছন্দের প্রতিযোগীকে উৎসাহ দিতে তার নাম ধরে কেউ কেউ চিৎকার করতে থাকে। 

এভাবে আঘা ঘণ্টা পার হলেও কেউ ধরতে পারে না হাঁসটি। ততক্ষণে অনেক প্রতিযোগী ক্লান্ত। তবে গ্রামের নাছোড়বান্দা ছেলেরা হারতে নারাজ। তারাও পানিতে সাঁতরে ও ডুব দিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। তাড়া খেতে খেতে হাঁসও ক্ষান্ত হয়ে পড়ে। শেষমেষ ৫৮ মিনিটে ধরা পড়ে দুলাল হোসেনের (২৪) হাতে। এতেই এ বছরের জন্য হাঁস ধরা খেলায় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। পুকুর থেকে দুলাল হোসেনকে ঘাড়ে তুলে স্লোগান দিতে থাকে সমর্থকরা। স্লোগান স্লোগানে ধ্বণিত হয় বসুনিয়াপাড়া গ্রামে।  

প্রতি বছরের মতো এবারও বসুনিয়াপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী এই খেলা অনুষ্ঠিত হয় সোমবার (৭ জুন) দুপুরে। গ্রামের সবচেয়ে বড় পুকুরে খেলার আয়োজন করে বসুনিয়াপাড়া স্পোটিং ক্লাব। বসুনিয়াপাড়া গ্রামসহ আশপাশের জোড়াবাড়ি, মির্জাগজ্ঞ, ডোমার পৌরসভা, বোড়াগাড়ি, পাঙ্গা, মটকপুর, পাশের দেবীগজ্ঞ উপজেলা থেকেও প্রতিযোগী ও দর্শনার্থীরা খেলা দেখতে। 

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ ডোমার উপজেলা শাখার সভাপতি মায়েদুল হক রসুনিয়া তুর্যের সভাপতিত্বে বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ বসুনিয়া, ইউপি সদস্য হাসানুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মাহমুদ পারভেজ বসুনিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  
 

/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়