পাবজি খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে সহপাঠীদের হাতেই খুন রসুল
মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নিহত কাজী গোলাম রসুল (১৬)
মাগুরায় মোবইল ফোনে অনলাইন গেম পাবজি খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে সহপাঠীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয় নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র কাজী গোলাম রসুল (১৬)।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার বেরইল পলিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা কাজী রওনক হোসেন বুধবার (২৯ জুলাই) ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার চার দিন পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন।
নিহত ছাত্রের নাম কাজী গোলাম রসুল। সে বেরইল পলিতা এলাকার কাজী রওনক হোসেনের ছেলে ও গঙ্গারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ২৭ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় বেরইল পলিতা বাজার থেকে বাগড় যাচ্ছিল। বেরইল পলিতা এলাকার দক্ষিণপাড়া সড়কে আসামাত্র কয়েক যুবক তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় গোলাম রসুলকে মাগুরা সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনামুল কবির জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের বাবা স্থানীয় বেরইল পলিতা বাজারের চা বিক্রেতা কাজী রওনক হোসেনের অভিযোগ, একই এলাকার দশম শ্রেণির এক ছাত্র ও তাদের সহপাঠিদের সঙ্গে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে দশম শ্রেণির ওই শির্ক্ষাথীর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরই অভিযুক্ত ও তার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন।
নিহতের মেজো বোন লিপি জানান, তাদের একমাত্র ভাইয়ের এমন মৃত্য তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা এ ঘটনার বিচার চান।
ওসি জয়নাল আবেদিন আরও জানান, মোবাইলে অনলাইন গেম পাবজি ও ফ্রি ফায়ার খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে কিশোর গোলাম রসুল সহপাঠীদের হাতে খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা কেউ আটক হয়নি।
উল্লেখ্য, দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে গোলাম রসুল সবার ছোট। একমাত্র ভাইকে হারিয়ে শোকে সবাই বাকরুদ্ধ। মা সোহাগী বেগম ও বাবা কাজী রওনক হোসেনসহ সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।পুরো বাড়ি জুড়ে এখোনো চলছে মাতম।
শাহীন/বুলাকী
আরো পড়ুন