কলেজের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে সাভারে অধ্যক্ষ খুন : র্যাব
সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ঢাকার সাভারে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও ঈর্ষা থেকে সাভার রেসিডেন্টশিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে ছয় টুকরো করে হত্যা করেন একই প্রতিষ্ঠানের অংশীদার শিক্ষকসহ তিনজন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানে পুঁতে রাখা পাঁচ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব।
রাজধানীর আশকোনায় একটি ডোবায় অবশিষ্ট নিখোঁজ অংশ মাথা উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়ার নরসিংহপুর রূপায়ন মাঠ এলাকায় সাভার রেসিডেন্টশিয়াল স্কুল এন্ড কলেজেরে সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানায় র্যাব।
এর আগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। তখন কলেজের ভিতরে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনের পাঁচ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিন্টু চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, দুই বছর আগে নরসিংহপুর গ্রামে সাভার রেসিডেন্টশিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ নামে প্রতিষ্ঠান চালু করেন মিন্টু চন্দ্র বর্মন, রবিউল ইসলাম ও মো. মোতালেব। মিন্টু চন্দ্র প্রতিষ্ঠানের ভিতরে থাকতেন। গত ১৩ জুলাই রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে ২২ জুলাই তার ছোট ভাই আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। এঘটনায় গত মধ্যরাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে রবিউলকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে রবিউলের ভাগ্নে মো. বাদশা ও রাজধানীর আশকোনা থেকে মোতালেব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও ঈর্ষা থেকে মিন্টুকে তারা গত ৭ জুলাই হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা করোনার মধ্যেও রাতে কোচিং চালাতেন। ১৩ জুলাই কোচিং শেষে ১০৬ নম্বর রুমে মিন্টুকে ডেকে নেয় রবিউল। পরে তার মাথায় বাদশা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর দা দিয়ে মিন্টুকে ছয় টুকরো করেন আসামিরা। এর মধ্যে পাঁচ টুকরো কলেজের ভিতরে মাটিতে পুঁতে রাখেন। মাথাটি রাজধানীর আশকোনায় ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। যেটি উদ্ধারে অভিযান চলছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, কলেজের ভিতরে পুঁতে রাখা দেহাবশেষ সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলো খুনিদের। কলেজের ভিতরের সিঁড়ির নিচ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা, হাতুড়ি, আসামিদের রক্তমাখা প্যান্ট, শার্ট ও শাবল উদ্ধার করা হয়।
সাব্বির/বকুল