তেঁতুলিয়া থেকে দেখা যাচ্ছে অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্যান্য বছরের মতো এবারও খালি চোখে দেখা যাচ্ছে নেপাল এবং ভারতের সিকিম সীমান্তে অবস্থিত বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করে বাংলাদেশের বহু মানুষ। তবে বিকেল হতে থাকলে ধীরে ধীরে আকাশের নীলে বিলীন হয়ে যায়। শীতের শুরুর বেশ আগে আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় হিমালয় পাহাড় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্খ স্পষ্ট দেখা যাওয়ায় অনেকে সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেন।
তেঁতুলিয়ার কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আজ মুক্ত আকাশে পরিষ্কারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের পর বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কম থাকায় এ বছর অনেক আগেভাগে পর্বত দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার প্রায় সব জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও সবচেয়ে ভালো উপভোগ করা যায় মহানন্দা নদীর তীরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ও পিকনিক কর্নার থেকে। শুক্রবার সকালে ভালোভাবে দেখা গেলেও দুপুরের পর কিছুটা ঝাপসা হয়ে যায়।
তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন (স্থলবন্দর) থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভুটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার, হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার।
প্রতিবছর শীতের আগে আগে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তেঁতুলিয়াসহ আশপাশের এলাকা থেকে খালি চোখে দৃশ্যমান হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে এবার সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে মেঘমুক্ত আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্পষ্ট দেখা যায়। এ বছর লকডাউনের কারণে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং আকাশে মেঘ না থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু আগেভাগে দৃশ্যমান হয়েছে হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে আগামীতে আকাশ পরিষ্কার থাকলে আবারও দেখা যেতে পারে।
নাঈম/বকুল