ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ক্ষেতে সবুজ হাসি কিন্তু কৃষকের মুখ ম্লান

আরিফুল ইসলাম সাব্বির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ১৪ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৪:১০, ১৪ অক্টোবর ২০২১
ক্ষেতে সবুজ হাসি কিন্তু কৃষকের মুখ ম্লান

ঢাকার ধামরাইয়ে আগাম শীতকালীন সবজির ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি থাকলেও বাজারে এসে সেই হাসি ফিকে হয়ে পড়ছে।

ক্রেতার কাছে সবজির দাম দ্বিগুণ হলেও পাইকারি বাজারে কৃষকরা সবজি বিক্রি করছেন আগের চেয়ে মাত্র ৫-১০ টাকা বেশিতে।

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। তবে বাজারে দাম বাড়লেও কৃষকের কাছে সেই দামের অর্থ পৌঁছাচ্ছে না। কাঁচা বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের তুলনায় বাজার ভেদে শাক-সবজির দামের পার্থক্য ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজিতে। উপজেলার হাতকোড়া, বারবারিয়া, কালামপুর, দেপাশাই, জয়পুরা, কাওয়ালীপাড়া, ধামরাইসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আগাম শীতকালীন বিভিন্ন সবজি ইতোমধ্যে বাজারে উঠলেও পাইকারি বাজারে মূলা, পটল, করলা, ফুলকপি (ছোট), শশা, ঢেঁড়শ, পেঁপের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন পাইকাররা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, লেবু, বেগুন, পটল, শশা ইত্যাদি প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকা, করলা ৬০-৮০, মূলা ও ঢেড়শ ৪০-৬০, ফুলকপি (ছোট) ৮০-১০০, বাঁধাকপি ৬০-৮০, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০, মিষ্টি কুমড়া ৪৫-৬০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। লালশাক ও পুঁইশাক প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৫০-৬৫ টাকায়, মাঝারি সাইজের দেশি লাউ ৪৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুচরা বাজারে দাম বাড়তি থাকলেও পাইকারি বাজারে দাম তেমন বাড়েনি। বেগুন, পটল, শশা ইত্যাদি পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকা, মূলা ও ঢেড়শ ২০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সমু ও নবীন হোসেন জানান, আগাম শীতকালীন বিভিন্ন সবজি উঠে গেছে। বাজারে সবজির দামও বেড়েছে। কিন্তু আমরা দাম পাচ্ছি না। চাষের খরচের সঙ্গে মিলিয়ে যে দাম পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে লাভ তেমন হবে না।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দুই থেকে তিনবার ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে হওয়ার প্রভাবে সবজির দাম এখন কিছুটা বেড়েছে। বাজারে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিষয়টি আশা করি কয়েকদিনে ঠিক হয়ে যাবে। তবুও এজন্য কোনো কৃষক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। ঢাকাতে আমাদের যে সরকারি কৃষি বিপণন কেন্দ্র রয়েছে কৃষকদের সবজি কিনে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য কৃষকদের উপজেলায় যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

সাভার/বুলাকী/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়