ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ইউপি নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগ 

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২৭ নভেম্বর ২০২১  
ইউপি নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগ 

মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীসহ দুইজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ‌্যায় কালিকাপুর ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি জানিয়েছেন। 

আহত হবি মাতুব্বর (৫৫) হোসনাবাদ গ্রামের লতিফ মাতুব্বরের ছেলে। তিনি কালিকাপুর ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এজাজুর রহমান আকনের কর্মী। আহত চন্দ্রবান বেগমের (৫০) আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছে।

হাসপাতাল ও আহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন ছিলো। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে হবি মাতুব্বর নিজ এলাকায় ঘোড়া মার্কায় পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।এসময় আনারস প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তালেব বেপারীর কর্মী সমর্থক কালু বেপারী, বেলায়েত হোসেন ও দেলোয়ার খানসহ বেশ কয়েকজন হবি মাতুব্বরকে ধাওয়া দেয়। এতে হবি দ্রুত দৌড়ে পাশের মৃত সোহরাব মাতুব্বরের ঘরে আশ্রয় নিতে ঢুকে পরে। এসময় ঘরের ভেতরে ঢুকে আবু তালেব বেপারীর কর্মী সমর্থকরা ব্যাগে করে আনা হাতুড়ি দিয়ে হবি মাতুব্বরকে বেধড়কভাবে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এসময় ঘরে থাকা চন্দ্রবানু বেগম মারধর ঠেকাতে গেলে অন্যদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল প্রায় সম্পূর্ণ কেটে যায়। তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হবি মাতুব্বরের ভাই বাচচু মাতুব্বর বলেন, ‘আমরা বর্তমান চেয়ারম্যান এজাজ আকনের নির্বাচন করি। সেই কারণেই আমার ভাইকে আবু তালেব বেপারীর লোকজন হামলা করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে। সেই সঙ্গে চন্দ্রবান ভাবিও আমাদের সমর্থক।তাকেও গুরুতর আহত করা হয়েছে। তার একটি আঙ্গুল কেটে গেছে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে যাবো।’

আহত চন্দ্রবান বেগম বলেন, ‘আমি ঘরের ভেতরে বসে পান খাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘরে হবি মাতুব্বর এসে ঢুকলে সাত-আট জন লোক ঘরে ঢোকে। এরপর হবিকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। ছাড়াতে গেলে আমাকেও কোপ দেয়। আমার একটি আঙ্গুল কেটে যায়। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, কালিকাপুর ইউনিয়নে একটি মারামারির খবর পেয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

বেলাল/বুলাকী

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়