নরসিংদীতে দুজন নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা
নরসিংদী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নরসিংদীতে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহতের ঘটনায় রায়পুরা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) রাতে রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর বাখরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এই মামলা দুটি দায়ের করেন ।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
স্থানীয়রা জানান, উত্তরবাখর নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ভোট কমবেশি পাওয়া নিয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সোহাগ মিয়া ও পন্ডিত মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায় ও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে আসে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গুলি ছুড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, বিকেলে ভোট গণনার সময় চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে দাড়েরপাড় এলাকার চান্দেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সমর্থক ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষ বাঁধে এবং সেখানেও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিতে আসে উত্তেজিত সমর্থকরা। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গুলি ছোড়ে । এর কিছুক্ষণ পরই রক্তাক্ত অবস্থায় আরিফ মিয়া নামে সিএনজি চালককে কেন্দ্রের পাশ থেকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, চান্দেরকান্দি ও উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের দুটি ভোট কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীরা ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ব্যালট বাক্স রক্ষা, জানের নিরাপত্ত্বায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় হামলাকারীরাও পুলিশের উপর গুলি ছোড়ে। এরপরই চান্দেরকান্দিতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরিফ মিয়া মৃত্যু হয়। এছাড়া উত্তর বাখরনগরেও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা এবং সংঘর্ষে ফরিদ মিয়া নামে আরেকজনের মারা যান। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারা চান্দেরকান্দিতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জনের বিরুদ্ধে এবং উত্তর বাখরনগরে পন্ডিত মেম্বারকে প্রধান করে আরোও অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত চান্দের কান্দির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
এইচ মাহমুদ/টিপু
আরো পড়ুন